আনোয়ার হোসেন: পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদ বলেন, আগুন ট্র্যাজেডির ফলে গত ১২ বছরে পুরান ঢাকায় দুই শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। তবুও বদলায়নি পুরান ঢাকার চিত্র। আবাসিক এলাকায় এখনো রাসায়নিকের দোকান-গুদাম ও কারখানার ব্যবসা চলছে বহাল তবিয়েতে।২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলীতে রাসায়নিকের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ১২৪ প্রাণ হারায়। ৯ বছর পর ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুনে পুড়ে মারা যান ৭১ জন। দুই বছর পর আবার আরমানিটোলায় অগ্নিকান্ডে প্রাণ গেল আরও ৪ জনের। নিমতলী ও চুরিহাট্টা ট্র্যাজেডির পর পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যালের গোডাউন সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল কিন্তু গত ১২ বছরেও সরানো হয়নি রাসায়নিকের গুদাম ও অবৈধ কারখানা। যার ফলে প্রায়ই আগ্নিকান্ডে প্রাণহানী ঘটছে। পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম ও কারখানা সরাতে না পারলে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না।
স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবসা অনেক বড় হয়েছে সুতরাং মানুষের জান এবং মালের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং আগুন ট্রাজেডির পুনরাবৃত্তি রোধে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের দ্রুত বিশেষ শিল্পায়িত অঞ্চলে পুনর্বাসন করা দরকার বলে আমরা মনে করি।