হাজিয়া বেবি বিনতে বাসেদ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপদসী জমিদার বাড়িতে দেয়াল নির্মাণ করায় মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ট্রেনিং ক্যাম্পটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে । এতে স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত ট্রেনিং ক্যাম্পটিতে প্রবেশে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দর্শনার্থীরা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এই বাড়িটি সংরক্ষণে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এদিকে এই দেয়াল নির্মাণের কারণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ১৫ টি পরিবার। এ ঘটনায় স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত এ জমিদারবাড়িটি সংরক্ষণও অবরুদ্ধ পরিবারগুলোর জন্য রাস্তার ব্যবস্থা করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলা প্রশাসক ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী তরুণলীগের বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি রূপসদী গ্রামের কৃতি সন্তান সমীর মজুমদার।
জানা যায় একমাস আগে ভবনের উত্তর পূর্ব পশ্চিম পাশে দেয়াল নির্মাণ করা হয়। এতে ভবনে ঢুকতে বাধা পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। এই দেয়াল নির্মাণের কারণে কয়েকটি সংখ্যালঘুসহ ১৫ টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।কিংকর রায় জানান বাড়ির নিরাপত্তার জন্য দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। এটা আমাদের সম্পত্তি, আমার বাড়ির উপর দিয়ে কাউকে রাস্তা দিতে পারি না।
এদিকে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন রূপসদী ট্রেনিং ক্যাম্পের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস মিয়া ‘মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন’কে জানান যুদ্ধকালীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একমাত্র বৈধ ট্রেনিং ক্যাম্প এটি। তিনি বলেন ক্যাপ্টেন আইনুদ্দিনের স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং ক্যাম্প করা হয়েছিল। 350 জন মুক্তিযোদ্ধা কে এখানে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। ভবনটি সংরক্ষণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়াও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কাদের ‘মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন’কে জানান ভবনটির সংরক্ষণের দাবি জানাচ্ছি ও এই ভবনের স্মৃতি বিনষ্ট করার জন্য যারা লেগে আছে তাদের কে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বাঞ্ছারামপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন সারোয়ার জানান অভিযোগ পেয়ে আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি,যে জায়গায় দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে, সেই জায়গায় পুরাতন একটি রাস্তা ছিল। আমি উভয়পক্ষকে স্থানীয় গণ্যমান্য ও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে বসে মীমাংসা করার জন্য কথা বলে এসেছি। এবং ভবনটি সংরক্ষণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে জানাবো।