লিটন মাহমুদ: রমজানে মাঠার ব্যাপক চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রিকাবী বাজার গোপপাড়া এলাকার বিপদ ঘোষ মেশাচ্ছিলেন স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক নিষিদ্ধ উপাদান সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘনচিনি।
বিপদ ঘোষের নামের উপরই প্রতিদিন কয়েকশ লিটার মাঠা বিক্রি হয়। মুন্সিগঞ্জের আনাচে-কানাচে থেকে লোকজন ছুটে আসেন বিপদ ঘোষের মাঠা কিনতে।
আজ বুধবার (৫ মে) সকালে বিপদ ঘোষের মাঠা তৈরির কারখানায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সিগঞ্জ। অভিযানে মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক সোডিয়াম সাইক্লামেট মেশানোর অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সিগঞ্জের সহকারি পরিচালক আসিফ আল আজাদ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান শেষে তিনি ‘সাংবাদিকদের কে জানান, বিপদ ঘোষের মাঠা তৈরীর কারখানায় তদারকি করা হয়। তদারকি কালে দেখা যায় বিপদ ঘোষ মাঠা তৈরীর সময় মাঠার সাথে নিষিদ্ধ উপাদান সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘনচিনি মিশান। মূলত চিনির খরচ বাচানোর জন্য তিনি সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘনচিনি মিশান, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
তিনি জানান, নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুযায়ী খাদ্য দ্রব্যে সোডিয়াম সাইক্লামেট ব্যবহার নিষিদ্ধ। এছাড়া তিনি দধিকে আকর্ষনীয় করার জন্য ননফুড গ্রেড কালার বা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল কালার মিশান, যা মানব স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। এ অপরাধের কারনে বিপদ ঘোষের মাঠা কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪২ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এসময় বিপদ ঘোষকে সংশোধনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং নিষিদ্ধ উপাদান মাঠা ও দধি তৈরীতে ব্যবহার না করার জন্য বলা হয়। অভিযান চলাকালে উপস্থিত ভোক্তা ও ব্যবসায়িদের মাঝে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সম্বলিত লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয় এবং আইনটি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
বাজার অভিযানের সহযোগীতা করেন, মুন্সিগঞ্জ জেলার স্যানেটারী ইন্সপেক্টর গাজী মোহাম্মদ আমীন, সদর উপজেলার স্যানেটারী ইন্সপেক্টর, জনাব মু: জামাল উদ্দিন মোল্লা, অভিযানে নিরাপত্তা বিধানে ব্যাটেলিয়ন আনসারের একটি টিম নিয়োজিত ছিল।