সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি লাঘবে চাপ বুঝে ঘাটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। সোমবার (১০ মে) সংস্থাটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানিয়েছেন, লাশের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের সময় যেভাবে মানুষ হুড়মুড়িয়ে উঠে যাচ্ছেন, তাতে আটকা পড়ে যাচ্ছে জরুরি প্রয়োজনের যানও।এ জন্যই প্রয়োজন বুঝে দু-একটা ফেরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম জানান, বিধিনিষেধের কারণে মালবাহী যানের জন্য ফেরি চলাচল করে রাতের বেলায়। আর দিনে অল্প কিছু ফেরি বরাদ্দ আছে লাশবাহী যান, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহনের জন্য। কিন্তু ঈদে বিশেষ প্রয়োজনে চলাচলকারী ফেরিগুলোতে হুড়মুড়িয়ে উঠে যাচ্ছেন ঘরমুখী মানুষ। এ জন্য সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে সংস্থাটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি।বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানা যায়, বর্তমানে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে সচল রয়েছে ১৬টি ফেরি। এর মধ্যে তিনটি ফেরি দিনে চলাচল করে লাশবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি প্রয়োজনের গাড়ির জন্য। আর রাতে প্রয়োজন অনুযায়ী চলে মালবাহী ফেরি। গত রোববার ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ঘাটে আটকা পড়ে ৩৫টি লাশবাহী গাড়ি। জরুরি সেবা হওয়ায় ফেরিতে লাশ পরিবহন করতে গিয়ে দেখা গেছে হুড়মুড়িয়ে উঠে যাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরাও। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে প্রয়োজন অনুসারে ফেরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।