হাফিজুর রহমান শিমুলঃ কালিগঞ্জে মহামারী করোনা’র ভয়াবহতায় রূপ নিচ্ছে, নমুনা পরীক্ষায় ৫০ জনের মধ্যে ২৫ জন পজেটিভ। ব্যাপকভাবে জনসচেতনতায় কাজ করছেন উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কালিগঞ্জ ফ্রি অক্রিজেন সার্ভিস নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ অনেকে।
মহামারী করোনাভাইরাস এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈবুর রহমান বললেন কালিগঞ্জ উপজেলার গণপতি, বাজারগ্রাম, শীতলপুর, পানিয়া ও নলতাসহ অন্যান্য এলাকায় মহামারী করোনাভাইরাস প্রকোপ বেশি দেখা দিয়েছে। আমাদের সরকার ঘোষিত লকডাউন মানতে হবে, জীবন রক্ষায় সচেতন ও সতর্ক হতে হবে, ঘরে থাকুন মাক্স পরিধান করুন। প্রাণঘাতী করোনায় বিপন্ন সাতক্ষীরাসহ কালিগঞ্জ সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘরে ঘরে সর্দি,কাশি, জ্বর, গলাব্যথা ও শ্বাশকষ্টসহ করোনা উৎসর্গ নিয়ে কেউ হাসপাতালে এসে টেস্ট করছেন। আবার কেউ টেস্ট করছেন না। গত রবিবার (২৭ জুন) কালিগঞ্জ হাসপাতালে ৫০ জন নমুনা পরীক্ষা করতে আসেন এরমধ্যে ২৫ জনের পজেটিভ শনাক্ত করা হয়েছে। তাহলে বুঝতে পারছেন আমাদের এলাকার পরিস্থিতি কতটা খারাপ আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে। ঘরে থাকতে হবে লকডাউন মানতে হবে। সোমবার(২৮ জুন) বেলা ১২ টায় কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে জুম মিটিং এর মাধ্যমে বক্তব্য রাখছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শেখ তৈবুর রহমান। এ সময় তিনি কালিগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে সাংবাদিকদের কাছে জানান, কালিগঞ্জ উপজেলায় জুন মাস পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩শ ৮২ জনেরর।এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ১শ ৯০ জনের। মারা গিয়েছেন (হাসপাতাল সূত্রে হিসাব) ৭ জন, তবে কালিগঞ্জের বাস্তব অবস্থা তার চেয়ে আরো বেশি খারাপ। কালিগঞ্জে টিকা নেওয়ার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছেন ১৫ হাজার ১ শ ৪৩ জন, প্রথম ও দ্বিতীয় টিকা গ্রহন সম্পন্ন করেছেন ৬ হাজার ৭ শ ১১জন। প্রথমে ১২ হাজার ১৮ জন নিবন্ধিত হয়েও দ্বিতীয় টিকা নিতে পারেননি ৩ হাজার ১শ ২৬ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরো জানান, কালিগঞ্জে দিনদিন করোনা ভাইরাসের সংক্রমোক ও মৃত্যু বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে অক্সিজেন ফ্রি সার্ভিস প্রদান করা হচ্ছে। এরমধ্যে কালিগঞ্জ ফ্রী অক্সিজেন সার্ভিস নামে সংগঠনটি বেশ অবদান রাখছে। তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্যসেবায় সরকারের সহযোগী হয়ে একসাথে কাজ করার আহবান জানান। এবং তাদের সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।