সরকার ঘোষিত সারাদেশে পহেলা জুলাই থেকে ৭ই জুলাই পর্যন্ত ৭ দিনের কঠোর লকডাউন এর প্রথম দিনই সকাল থেকে পটুয়াখালী শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনী র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা কঠোরতার সহীত তাদের নিজ নিজ এলাকার দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
তাছাড়া মহামারী করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলার জন্য সরকার ঘোষিত বিভিন্ন বিধিনিষেধের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি স্বায়ত্তশাসিত সকল অফিস আদালত সহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তাছাড়া মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাবেচার জন্য শুধু বাজার ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ফার্মেসি, হাসপাতাল, বিভিন্ন ক্লিনিক ও রিক্সা ব্যতীত অন্যান্য যানবাহন সব বন্ধ ছিল।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন করোনা প্রতিরোধে সরকারের ১৭ দফা প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন সর্বদা তৎপর থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা শহরসহ ৮ উপজেলায় ১৮ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পৃথক ভাবে কাজ করছে তাছাড়া পূর্বে আমরা মাইকিং করে সরকারি প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে সকল মানুষকে আমরা অবহিত করেছি।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ (পিপিএম) বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকারের ১৭ দফা প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নে পুলিশ মাঠে থাকবে। বৃহস্পতিবার(১ জুলাই) সকাল থেকে পটুয়াখালীতে জরুরী কাজ ছাড়া কেউ বাহিরে বের হলে প্রশাসন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং মাস্ক ও যথাযথ কাগজপত্র সাথে না থাকায় মটর সাইকেল/বিভিন্ন যানবাহন চালকদের জরিমানা করা হয়েছে। সরকারের ২১ দফা নির্দেশনা পালনে পুলিশ মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিনা প্রয়োজনে মানুষের চলাচলে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে।
তাছাড়া শেখ হাসিনা সেনানিবাস এর কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন জীবন মাহমুদ জানায় পটুয়াখালীতে কঠোর এই লকডাউন পালনে আজ বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের সেনাবাহিনীর একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে যে, আজ বৃহস্পতিবার জেলা শহরে কোন প্রকার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খোলেনি। এবং শহরের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে চলাচল করতে দেখা যায়নি কোনো যানবাহন। তবে বিচ্ছিন্নভাবে পায়ে চালিত কিছু রিক্সা চলাচল করতে দেখা গেছে। তাছাড়া পটুয়াখালী শহরের অধিকাংশ এলাকাতেই দেখা গেছে মানুষ শূন্য। শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা বিভিন্ন পয়েন্টে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ-সেনাবাহিনী বিজিবি এবং র্যাব সদস্যদের টহলরত অবস্থায় দেখা গেছে।