কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।। আজ থেকে প্রায় নয় বৎসর আগে পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার উস্তি ও মগরাহাট থানা এলাকায় ভয়াবহ বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল, ১৭২,জন, মানুষের। ঘটনাটি ঘটেছিল, ২0১১,সালে, ডিসেম্বর মাসে। সেই ভয়াবহ বিষমদ কান্ডের মৃত্যু ঘটনার ফলে উত্তাল হয়ে উঠে পশ্চিম বাংলার রাজ্যে রাজনিতিতে। সেই ভয়াবহ বিষমদ কান্ডে মৃত্যু নগরীর রূপ নেয় গোটা উস্হি ও মগরাহাট থানা এলাকায়। সেই সাথে যুক্ত হয় মন্দির বাজার ও ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকার মানুষ। বিষমদ কান্ডের মৃত্যুর আকার এতটাই বেশি ছিল যে একের পর এক মানুষের লাশ বইতে হিমশিম খেতে হয় সাধারণ মানুষের। বিষমদ কান্ডে কারো বাবা কারো ভাই ও চাচা বন্ধু মারা যায়। যাদের আত্মনাদে মগরাহাট থানা ও উস্তি থানা এলাকার আকাশে ও বাতাসে ভেসে ওঠে। সেই মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটনার জেরে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। এই বিষমদ কান্ডের তদন্তের ভার পড়ে পশ্চিম বাংলার সি আই ডি উপর। তারা তদন্ত করে মূল আসামি নুর ইসলাম ফকির লস্কর ওরফে খোড়া বাদশা কে দোষী সাব্যস্ত করে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা আদালত আলিপুরে চার্চ সিট পাঠিয়ে দেন। দীর্ঘ নয় বৎসর ধরে মামলা চলার পর আজ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা আদালত আলিপুর দোষী সাব্যস্ত করে বিষমদ কান্ডের প্রধান আসামি নুর ইসলাম ফকির লস্কর কে। তাকে আজীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত করে বিচারপতি। সেই সাথে প্রমাণ ও সাক্ষীদের অভাবে সাতজন কে ছেড়ে দেন। এই বিষমদ কান্ডে ঘটনার রায় শুনে মৃত ব্যক্তির পরিবারের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে। সেই সাথে তাদের আক্ষেপ যারা ঔ বিষমদ কান্ডের প্রধান আসামি নুর ইসলাম ফকির লস্কর ওরফে খোড়া বাদশার কাছ থেকে মাসে মাসোহারা খেত তারা আজ শাসক দলের নেতা ও ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য ছাড় পেয়েছে। ওরা সমান ভাবে দোষী ছিল এই জঘন্য কাজ এর সহায়তা প্রদান করার জন্য। তারা আজ আইনের রক্ষিত। যখন এই বিষমদ কান্ডের ঘটনা ঘটে তার পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় উস্তি থানা ও মগরাহাট থানার এবং পারুলিয়া কোস্টাল থানার দায়িত্ব পালন কারী সার্কেল অফিসার শ্রী অলোক রন্ধন মুন্সী কে বদলি করা হয়। এবং উস্তি ও মগরাহাট থানার কিছু অফিসার কে বদলি করা হয় এই ঘটনার দায়ে।।