রাজশাহী ব্যুরোঃ ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ ও এর নেপথ্যের চিহ্নিত কুশীলবদের বিচারের দাবীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মান্নান, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি অ্যাড. ইসমত আরা। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার।
এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে নসাৎ করে ধর্মান্ধ দেশ গড়ার জন্য মৌলবাদীরা অনেক চক্রান্ত করেছেন। কিন্তু সকল বাধা অতিক্রম করে জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০০৫ সালের এই দিনে জঙ্গি গোষ্ঠিরা সারাদেশে ৫০০ টি বোমা হামলা করেছিলো। কিন্তু জনগণেন রায়ে আজ তারা ক্ষমতার বাইরে। তারা আশায় বুক বেঁধেছে এ দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র তৈরী করবে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন আমরা সবাই প্রস্তুত আছি, কোনভাবেই রাজাকার-আলবদরদের বংশদরদের ক্ষমতায় দখল করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা সজাগ থাকলে ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলতে পারলে মৌলবাদী, রাজাকার-আলবদররা দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।
মোঃ ডাবলু সরকার বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জঙ্গি বাহিনীরা সারাদেশে ৫০০ টি বোমা হামলা করেছিলো। ঐ ধারাবাহিকতায় তৎকালিন এমপি ও মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, নাদিম মোস্তফা, তৎকালিন উপমন্ত্রী দুলু ও তানোর-গোদাগাড়ির এমপি ব্যারিস্টার আমিনুল হক এর নেতৃত্বে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় বাংলা ভাইয়ের আবির্ভাব ঘটে এবং এই বাংলা ভাই বাগমারাতে আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যা করে। তারেক জিয়ার মূল মদদে সৃষ্ট জেএমবি সবসময় আওয়ামী লীগের নেতাদের অত্যাচার-নির্যাতন করতো ও সাম্প্রদায়িক গড়ার লক্ষে তৎপর ছিলো। তারা আবারও স্বপ্ন দেখছে এদেশের ক্ষমতা দখল করবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সজাগ ও প্রস্তুত আছি। কোনভাবেই স্বাধীনতা বিরোধীদের এদেশের ক্ষমতা দখল করতে দেওয়া হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, মহিলা সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, শিক্ষা সম্পাদক আনসারুল হক, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য নজরুল ইসলাম তোতা, আশরাফ উদ্দিন খান, আতিকুর রহমান কালু সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, অ্যাড. শামীমা আক্তার খাতুন, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, মোখলেশুর রহমান কচি, কে.এম জুয়েল জামান, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ সহ নেতৃবৃন্দ।