রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
‘‘কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়’’-আইজিপি গাজীপুরের সফিপুরে সৌদি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ওয়ামির উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স উদ্বোধন কালিগঞ্জে ইকরা তা’লীমুল কুরআন নূরানী মাদ্রাসায় সুধী ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে ৩৪৭বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক সংস্কারের আগে নির্বাচন করলে কখনোই সংস্কার হবে না: সংস্কার কমিশন সদস্য তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে চাই-পার্বত্য উপদেষ্টা সকল টেলিভিশন চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ‘জুলাই অনির্বাণ’-শীর্ষক ভিডিওচিত্র প্রচারের উদ্যোগ আ.লীগ নিজেরাই নিজেদের পতন ডেকে এনেছে : জামায়াত আমির ব্রেক ফেল হয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে ২ কিঃমিঃ দূরে গিয়ে থামলো ট্রেন গণমাধ্যমের অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় সভা আয়োজনসহ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ

মন ভালো নেই রজনী সিংহানিয়ার

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২.৪৮ এএম
  • ১৬৪ বার পঠিত

মন ভালো নেই রজনী সিংহানিয়ার, চরম আতংকে দিন কাটছে তার, নীলফামারি জেলার ছোট্ট একটা শহর সৈয়দপুর গত কয়েক মাস এক আতংক নগর। বলা যায় না কখন কাকে উঠিয়ে যাবে, জানালা দিয়ে বাইরে উকি দেবারও সাহস হচ্ছে না। যদি কোন উর্দু ভাষীর কুনজরে পড়ে যায়। প্রিয় শহর সৈয়দপুরে অনেক শান্তিতেই ছিলো ওরা। ১৮৭০ সালে বৃটিশ রাজের রেলওয়ের ওয়ার্কশপ, পরে পাটকলসহ নানান কলকারখানা গড়ে উঠায় এলাকাটি বানিজ্যেক নগর হয়ে উঠে। মুলতঃ ব্যবসা, সমাজসেবায় প্রাধান্য ছিলো সিংহানিয়া, কেডিয়া, আগরওয়ালা পরিবারের হাতে। এই পরিবারের হাতে গড়া “তুলশিরাম বালিকা বিদ্যালয়” এর প্রতিষ্ঠাতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী ও শীর্ষ ব্যক্তিত্ব তুলশীরাম আগরওয়ালা, নবনির্বাচিত এমপিএ ডাঃ জিকরুল হক সহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা রেলের কয়েকজন অফিসারের সাথে ব্যবসায়ী যমুনা প্রসাদ কেডিয়া’দের আর্মি উঠিয়ে নিয়ে গেছে। তাঁদের খোঁজ নেই, শোনা যাচ্ছে উনাদের ক্যান্টনমেন্টে কোয়ার্টার গার্ডে কদিন আটকে রেখে, গত ১২ এপ্রিল মধ্যরাতে রংপুর নিসবেতগঞ্চ নিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেলা হয়েছে। শহরটা নেতা শুন্য হয়ে গেলো। টু শব্দ করার মতো কেউ রইলো না। কে কখন আর্মি স্পাই দের নজরে পড়ে যায় বলা যায় না…

তার মতোই আতংকে নববধু কাঞ্চন দেবী সিংহানিয়া, মাত্র দুমাস হলো গৌরী শংকর সিংহানিয়ার ঘরে লক্ষী হ’য়ে এসেছে। বগুড়া দুপ চাঁচিয়ার তালোড়া থেকে শান্তির শহর সৈয়দপুরে স্বামীর ঘরে এসেও শান্তিতে নেই। কখন না জানি দলবেঁধে বিহারীরা এসে সব লুটে নেয়। প্রতিবাদ করার মতো কেউ নেই। কদিন আগেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আর্মির হাতে ধরা পড়েন সাতনালার চেয়ারম্যান মাহতাব বেগ (সৈয়দপুরে প্রতিরোধ যুদ্ধে প্রথম শহীদ, তৎকালীন দিনাজপুর জেলার চিরির বন্দর থানার সাতনলা ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট,বর্তমান আলোকদিহি ইউপি) পরে বিহারী’রা তার মাথা কেটে নিয়ে শহরময় আনন্দ উল্লাস করেছে। কার কাছে নিরাপত্তা চাইবে এ শহরে? নিরাপত্তা দেবার লোকেরাই এখানে নিরাপত্তা হীনতার কারণ…

একই আতংকে শ্যামলাল আগরওয়ালা, আরো ১৮৫ জন মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীর মতো তাকেও ডেকে এনে আটকে রাখা হয়েছে ক্যান্টনমেন্টে। তাদের’কে দিয়ে সারাদিন এয়ারপোর্টের রানওয়ের জন্য মাটি কাটানো হচ্ছে। এমন গতর খাটানো কাজ জীবনেও করতে হয় নি তার। পাশেই চকচকে রাইফেল হাতে পাঁইচারী করছে খানসেনা। একটু পর পর একেক জনের ডাক পড়ছে মেজর গুল সাহাবের টেবিলের সামনে। তিনি শুনে নিচ্ছেন কার কোন ব্যংকে ডিপোজিট কতো, বাড়িতে কত ভরি সোনা আছে? লুকানো কোথায়? সব শুনে তাকে জীপে তুলে ছুটছেন ব্যংকে, বাড়িতে। ব্যাংক একাউন্ট আর সিন্দুক শুণ্য করে টিনের ট্রাংক ভর্তি টাকা আর গহনা নিয়ে বিজয়ের ভঙ্গিতে ফিরছে ক্যান্টনমেন্টে! এরপর ডাক পড়ছে আরেকজনের…

রাতে কোয়ার্টার গার্ডের ছোট্ট কুঠুরিতে ঘুম আসেনা ওদের, কখন না জানি আবার মাঝ রাতে দরজায় টোকা পড়ে, “ফরেন বাহার আও, নিসবেতগঞ্চ যানা হ্যায়”…

১’লা জুন থেকে এভাবেই চলছে ওদের আশা নিরাশার জীবন…

মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানো মানুষগুলোর মনে হঠাৎ আশার আলো ছড়ালো একটি মাইকিং। শহরজুড়ে খান সেনা ও তাদের সহযোগী বিহারিরা জুনের ১০,১১ ও ১২ তারিখে মাইকিং করলো, যে সমস্ত হিন্দু মাড়োয়াড়ী ভারতে যেতে চান, তাদের জন্য জলপাইগুড়ি অব্দি যাবার স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেনটি ১৩’ই জুন ১৯৭১ সকাল ০৭.০০ টায় সৈয়দপুর থেকে চিলাহাটি হলদিবাড়ি সীমান্তের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে…

নিভন্ত প্রদীপে আশার আলো দেখা দিলো, হিন্দু ও মাড়োয়াড়ী পরিবারগুলোতে আশার সঞ্চার হলো। লুটপাট হয়ে যাবার পর, ঘরে সামান্য যা কিছু অবশিষ্ট ছিলো, তা গোছানো শুরু হলো। এবার হয়তো নিরাপদ অঞ্চলে ঠাঁই হবে। এখন ঘরে ঘরে শুধু ১৩ তারিখের অপেক্ষা…

এপ্রিলের ১২ তারিখ মধ্য রাতে এয়ারপোর্টের মাটি ভরাটের কাজ থেকে অব্যাহতি মিললো ওদের। মেজর গুল বলে দিলেন, যত দ্রুত সম্ভব নিজ নিজ পরিবার নিয়ে সৈয়দপুর রেল স্টেশনে হাজির হতে, দেরী করলে ডাব্বায় (বগী) জায়গা মিলবে না। রুদ্ধ শ্বাসে শ্যামলালসহ অন্য ১৮৫ জনও নিজ নিজ বাড়ির দিকে ছুটলো। ১৩’ই জুন ভোরের আলো ঠিকমতো ফোঁটার আগেই গণেশ চরণ আর তুলসীতলায় শেষ বারের মতো প্রণাম করে স্টেশনের দিকে পা বাড়ালো কাঞ্চন ও রজনী দেবী। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে ওরা স্টেশনে পৌঁছলো, কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের মতো প্রায় ৪৬৮ জন হিন্দু মাড়োয়াড়ী পরিবারের সদস্যরাও প্লাটফর্মে হাজির হলেন।

তাদের সাথে যোগ দিলেন আরও একজন, তিনি রংপুর শহরের মুলাটোল এলাকার চিন্তাহরণ দাস, একসময় বেত পট্টি রোডে আর কে বণিকের Caltex কোম্পানিতে চাকুরী করতেন তিনি। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় সামরিক সরকার কোম্পানিটি নিয়ে নিলে তিনি কর্মহীন হয়ে পড়েন। সেখান থেকে সৈয়দপুর এসে যমুনা প্রসাদ কেডিয়ার “খেলারাম জগন্নাথ“ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্যাসিয়ার পদে যোগ দেন। সেই থেকে আজও কেডিয়া পরিবারের সঙ্গী। পুত্র বীরু, হারু, কন্যা লক্ষী ও পুতুল (পূর্ণনাম বীরেশ্বর দাস বীরু, কালিনাথ দাস হারু, লক্ষীরানি পাল ও পুতুল সেনগুপ্ত) আর স্ত্রী রংপুরে থাকতো, ওরা ইতিমধ্যেই ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এখন তাকেও যেতে হবে, এখানে থাকার মতো পরিবেশ নেই। চেনামুখ গুলো অচেনা হয়ে গেছে, যারা কয়্যি ছোটামোটা নকরী কি ধান্দায় গদীঘরের সামনে দিনভর ধর্না দিতো, এখন তারাই শহরের হর্তাকর্তা, কর্ণেল সাহেব, মেজর সাহেব’দের সাথে উঠাবসা। কাকে ধরবে, কার বাড়ি সার্চ করবে ওরাই ঠিক করছে। আজ ওরাও খানসেনা’দের সাথে স্টেশনে ঘোরাঘুরি করছে। প্রাণের আশা জাগানিয়া ট্রেনের অপেক্ষায় প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে চিন্তাহরণের চিন্তা শেষ পর্যন্ত পরিবারের কাছে পৌছুতে পারবে তো?

সকাল ৮ টা নাগাদ ৪টা ডাব্বা (কম্পার্টমেন্ট) নিয়ে ট্রেন প্লাটফর্মে ভিড়লে, সকলের হৃদ কম্পন বাড়তে শুরু করলো। মেজর সাব কা হুকুম সবাই এক ডাব্বায় উঠা যাবেনা। প্রথম দুই বগিতে পুরুষদের, পরের দুটিতে নারী শিশুদের তুলে দিয়ে জানালা বন্ধ করতে বলা হলো। এর মাঝে আলাদা করা নারীদের মাঝ থেকে ২০/২২ জন তরুণীকে আর্মি গাড়িতে করে ক্যান্টনমেন্টে পাঠিয়ে দেয়া হলো। জীবনের মায়া প্লাটফর্ম দাঁড়ানো খানসেনার সামনে ওদের নিরব করে রাখলো…

সকাল ১০ টা, ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মাঝে প্রিয় শহর পিছনে ফেলে স্পেশাল ট্রেন যাত্রা শুরু করলো। জানালার ফাঁক দিয়ে প্রিয় জন্মভূমি দেখে নিলো অনেকেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই রেলওয়ে ওয়ার্কশপও পার হলো, চোখে স্বস্তির রেখা ফোটার আগেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে কালভার্ট-337 (ছবি দ্রষ্টব্য) মাঝে রেখে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়েছে (দুটি করে বগী দুইপাশে, মাঝে কার্লভার্ট) জানালা খুলে যা দেখা গেলো, তা কারো কল্পনাতেও ছিলো না…

রেললাইনের দুপাশে ভারী অস্ত্র হাতে খানসেনা আর বড় বড় ছোরা আর ড্যাগার হাতে বিহারিরা ট্রেনকে ঘিরে রেখেছে…

কেউ নামার আগেই বিহারিরাই ট্রেনে উঠে এলো, ট্রেন থেকে সবাইকে নামতে বললো। কেউ একজন কারন জানতে চাইলে এলোপাথাড়ি কোপানো শুরু করলো। “তুম ইস মুলুক কা বাগী হো, তুমকো আয়সেহি মারা যায়েগা” বলেই একজন বৃদ্ধকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে নিলো ওরা। কালভার্টের পাকার উপর দাঁড় করিয়ে এক কোপে ধড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দিলো, মাথাটা খা্লের মধ্যে গিয়ে পড়লো, পরে ধাক্কা দিয়ে দেহটা নয়নজলী খালে ফেললো। নিমিষেই পুরো ট্রেনে মরণ আতংক ছড়িয়ে পড়লো…

ট্রেন থেকে একের পর এক যাত্রী নামিয়ে জবাই করতে থাকলো। কান্নাকাটি করা শিশুদের মায়ের কোল থেকে কেড়ে রেলের পাতে অথবা কালভার্টের পাকা শানে জোরে আছাড় দিয়ে মারলো। এ দৃশ্য দেখে এক মা তার দুধের শিশুকে বুকে আঁকড়ে ধরলে মায়ের কোলেই কোপ দিয়ে শিশুটাকে দ্বিখণ্ডিত করে ফেললো। মৃতদেহ গুলো ট্রেন থেকে নামিয়ে সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে টেনেহিঁচড়ে খাল পর্যন্ত নেয়ায় দুপুর নাগাদ বগিগুলোর মেঝে আর রেললাইনের পাশের সবুজ ঘাস মানুষের রক্তে লাল হয়ে গেলো…

মৃত্যুর বিভিষীকা দেখে জীবিতরা কড়জোরে মিনতি করলো, এত কষ্ট দিয়ে না মেরে তাদেরকে গুলি করে মারা হোক। জবাব এলো, “তুম লোগো কো মারনে কি লিয়ে সারকার কা কিমতি গোলি কিউ খার্চ কারু…?

“সরকারের মূল্যবান গুলি বাঁচিয়ে পাকি প্রেমিকেরা কসাইয়ের মতো জবাই করে,খুঁচিয়ে বা আছাড় দিয়ে হত্যা করে লাশ গুলো নয়নজলী খালে ছুড়ে ফেলতে থাকলো। বাঁচার সব আশা ছেড়ে অভিশপ্ত ট্রেনের তরুণ যাত্রী কান্টু (তপন কুমার দাস), নিঝু আগরওয়ালা, শ্যামলাল আগরওয়ালা, বিনোদ আগরওয়ালা, শ্যামসুন্দর দাস, গোবিন্দ চন্দ্র দাস মৃত্যুর অপেক্ষায় ধৈর্য্য হারালো। কান্টু দাস তার প্রিয় দাদাকে মিনতি করেও পালাতে রাজি করতে পারলো না। স্ত্রী ছেলে মেয়েকে মৃত্যুর মুখে রেখে নিজের জীবন বাঁচানোর মানে হয় না। বংশ রক্ষার আশায় দাদার কথা রাজি হয়ে জানালা খুলে নিচে লাফ দিলেন তিনি, মাটিতে পড়েই পশ্চিম দিকে দৌড়, তার সাথে নিঝু, শ্যাম, বিনোদ গোবিন্দ সহ আরও ২০/২৫ জন। ঠা ঠা গুলির আওয়াজ কানে এলো। কয়েক জন লুঠিয়ে পড়ে কাটা মুরগির মতো ধড়ফড়াতে লাগলো। কাদায় পিছলে পড়ার সময় মাথায় গরম বাতাসের ছোয়া পেলেন, কিমতি গোলি টার্গেট ভেদ করতে পারেনি। তারমতো ভাগ্যবান ২১ জন পালিয়ে বাঁচতে সক্ষম হন…

সন্ধ্যা নাগাদ নয়নজলী খালে নয়নের জল ফেলার মতো কেউ অবশিষ্ট রইলো না, ততক্ষণে খালের পানি আর রেললাইনের পাশের সবুজ ঘাস লাল বর্ণ ধারন করেছে। খালে আর লাশ ফেলার মতো জায়গা না থাকায় তাদের জায়গা হলো রেল লাইনের পাশে হাঁটু পরিমান গর্তে। ইতিমধ্যে ট্রেনে পড়ে থাকা মাল সামানার মালিক বনে গেছে দিনের কসাইরা। রাত ন’টা নাগাদ যাত্রীশূণ্য ট্রেন সৈয়দপুর ফিরে এলে, রক্তেভেজা বগীগুলো দ্রুত ধুয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়ে শেষ হয়, “অপারেশন খরচাখাতা”।

পুনশ্চঃ একজন মায়ের সরলতা প্রচন্ড বিস্মিত করেছে, সৈয়দপুর মাড়োয়াড়ি পট্টির বাসিন্দা আচুকি দেবী (৯০) আজও বিশ্বাস করেন, ওই অভিসপ্ত ট্রেনের যাত্রী তার কন্যা কাঞ্চন দেবী সিংহানিয়া আজও বেঁচে আছে। বিয়ের সময় ওর বয়স ছিলো কুড়ি, একদিন সেভাবেই তার কাছে ফিরে আসবে। তার প্রশ্ন “তোমরা কি কেউ আমার কাঞ্চন কে দেখেছ…?

*তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ৮ম খন্ড ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ কঃ (অবঃ) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির,বীর-প্রতীক মহোদয়ের লেখনী

** প্রিয় পাঠক, লেখার ভুল ধরিয়ে দিলে উপকৃত হবো এবং তা সংশোধন করবো, অনিচ্ছাকৃত ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখাসহ নিহতদের আত্মার শান্তি কামনার আবেদন রইলো। প্রত্যাশা সঠিক তথ্য উপস্থাপন।
Attn: Reza Rahman, Ifteqhar Hussain Khan

লেখকঃ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির আইন প্রশিক্ষক হাসান হাফিজুর রহমান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
      1
23242526272829
30      
  12345
20212223242526
2728293031  
       
15161718192021
2930     
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com