যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভৈরব নদে ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে অভয়নগরবাসীর বহুপ্রত্যাশিত স্বপ্নের ভৈরব সেতু। ১৫টি পিলারের কলামের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ৭০২.৫৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৮.১ মিটার প্রস্থ সেতুটি। ২০১৫ সালের জুন মাস থেকে শুরু হয় এ সেতুটির নির্মাণকাজ। ম্যাক্স র্যাংকিং জয়েন্ট ভেঞ্চার নামক প্রতিষ্ঠানটি এ সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করে। গত বছর ২২শে নভেম্বর ২০২০ ইং তাং, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটির পূর্বপাড়ে অংশের এক পাশে, ৩০ থেকে ৪০ ফুট জায়গা নিয়ে বাঁধায়কৃত ব্লক ধসে পড়েছে।
এছাড়াও সেতুর বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে, যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘনা। এলাকাবাসীর দাবি নির্মিত সেতু থেকে ব্লক দুর্বল হয়ে ধসে পড়েছে। ভৈরব সেতুটি দেখতে আসা অনেক দর্শনার্থী আতঙ্কিত হয়ে বলছেন।যদি এ অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাহলে সেতুটির ভবিষ্যৎ কী হবে? ভৈরব সেতুর পশ্চিমপাড়ের মশরহাটি গ্রামের বাসিন্দা মো. আজিম চৌধুরী জানান, এত টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভৈরব সেতুটিতে যে ধস দেখা দিয়েছে, তা দেখে আমরা অত্যন্ত চিন্তায় পড়েছি। সেতুটি নির্মাণ করে আমাদের কী লাভ হল? যদি সেতু ধসে খতিগ্রস্থ হয়ে যায়, তাহলে অভয়নগরবাসীর কী হবে? অভয়নগর উপজেলার দুইপারের লাখ লাখ মানুষের কী উপকারে আসবে?
এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলার প্রকৌশলী স্যামল কুমার বসু বলেন ইতি মধ্যে যশোরের ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী সেতু পরিদর্শন করেছেন, আমরা দ্রত মেরামত করার চেষ্টা করছি।