দেশব্যাপী ঢাকঢোল পিটিয়ে বিদেশি ৩৭২ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথিত আলোড়ন পত্রিকার নিজস্ব কোনো কার্যালয়ই নেই। কোনরকম অফিস ছাড়াই কোটি টাকার ধান্দাবাজি সফল করেছেন কথিত প্রকাশক সিরাজুল মনির।
নিয়োগসহ অন্যান্য প্রচার, প্রচারণা ও চিঠিপত্রে আলোড়নের অফিস হিসেবে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার যে ঠিকানাটা ব্যবহার করা হতো তা পুরোপুরি ভূয়া। বারিধারাস্থ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার “ই” ব্লকের ৬ নম্বর রোডের কোথাও ৭৬ নম্বর বাসাটির অস্তিত্ব নেই। তাছাড়া “আই” ব্লকে গিয়েও সন্ধান মেলেনি রোড নম্বর ও হোল্ডিং নম্বরযুক্ত বাড়িটির। এমনকি গুগল ম্যাপে সার্চ দিয়েও আলোড়ন পত্রিকা অফিসের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
ক্স অবশ্য গত রাতে পত্রিকাটির তথাকথিত প্রকাশক সিরাজুল মনির মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, ‘এখন অফিস খুঁজে লাভ নেই, আগামি ৫ তারিখের পর থেকে অফিস দেখতে পাইবেন।’
ক্স তাহলে প্রচার প্রচারণা ও চিঠিপত্রে যে ঠিকানাটা ব্যবহার করা হয়েছে….?
ক্স জবাবে সিরাজুল মনির বললেন, ‘বললাম তো ৫ তারিখেই অফিসের আসল ঠিকানা পাইবেন।’
অথচ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করেই সিরাজুল মনির নিয়োগপত্র বানিয়ে জেলায় জেলায় গিয়ে নিজের হাতে প্রতিনিধিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। প্রতিনিধিদের কেউ অফিসে আসতে চাইলে তিনি বলতেন, অফিসে এসে তদবিরের মাধ্যমে পদ পদবী পাওয়ার চেষ্টা করা হলে তাকে নিয়োগের জন্য অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হবে। এই ভয়ে আর কেউ অফিসমুখো হননি।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিরাপত্তা কর্মি থেকে শুরু করে ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারাও এমন ব্লক, রোড ও হোল্ডিং নম্বরের কোনো বাড়ির অস্তিত্ব থাকার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, এই আবাসিক এলাকায় এমন ঠিকানার কোনো অস্তিত্ব নেই। তাছাড়া আবাসিক এলাকার মধ্যে পত্র পত্রিকা কিংবা অন্য কোনো বাণিজ্যিক অফিস স্থাপনের কোনো রকম অনুমতি নেই। সম্পূর্ণ আবাসিক বিধি বিধান মেনে গড়ে ওঠা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কোনো উপায়েই ভবন, বাড়ি বা ফ্ল্যাট অফিস আকারে বা বাণিজ্যিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া সম্ভব নয়। কেউ এমন ঠিকানা ব্যবহার করে থাকলে তা ভূয়া ও জাল।
কথিত দৈনিক আলোড়ন ও এর তথাকথিত প্রকাশক সিরাজুল মনিরের দুর্গন্ধময় প্রতারণার খবর একের পর এক বেরিয়ে আসছেই। শত শত মানুষের তথ্য প্রমানাদিতে নিজের এফবি ইনবক্স যেন উপ্চে পড়ছে। অতিরঞ্জিত লেখনি এডিট করে অচিরেই তা ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশ করার অঙ্গিকার করছি।
সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা র ইনভেস্টিগেশন সেল ইন-চার্জ ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিমন এর ফেসবুক থেকে ।