খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউনিয়ন পরিষদে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় মো. জমির আলী ভুইয়াকে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
একই সাথে গঠনতন্ত্রের ৪৭(১১) ধারা অনুযায়ী সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বরাবরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রাতে মাটিরাঙা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গনিকে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দিলেও আপনি দলের সভাপতির মতো গুরুত্বপুর্ণ পদে থেকেও দলীয় প্রার্থীও বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহী/স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।
আপনাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য বারবার তাগাদা দেয়া হলেও আপনি তা অমান্য করে নির্বাচনীয় প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যা গঠনতন্ত্রের ৪৭ধারার সুস্পষ্ঠ লঙ্ঘন। তাই খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশে গঠনতন্ত্রেও ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক আপনাকে আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
এবিষয়ে আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য অব্যাহতি পাওয়া সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. জমির আলী ভুইয়া বলেন, ১৯৭৮সালে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি শুরু করি। বিগত ৪০বছর ধরে আওয়ামী লীগের সাথে আমার সংসার। বারবার আমাকে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমি জনগনের চাপেই এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, আমাকে বহিস্কার করা হলেও আমি আজীবন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে কাজ করে যাবো। আওয়ামী লীগের সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক। আমি শুধু জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনেই তাদের ইচ্ছেতেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।