কলকাতা সিভিক পুলিশ কে মানবিক হাওয়া প্রয়োজন বললেন পুলিশ কমিশনার শ্রী সৌমেন মিত্র।। গত দুই দিন আগে কলকাতার বুকে এক ব্যাক্তিকে পকেট মার সন্দেহ কলকাতার এক্স সাইড মোড়ে ট্রাফিক গার্ড এর সিভিক পুলিশ শ্রী তম্ময় বিশ্বাস প্রকাশ্যে বুকের উপর বুট পরা অবস্থায় মাড়িয়ে দিচ্ছে। এবং সন্দেহ করা সেই পকেট মার ব্যাক্তি বার বার চেষ্টা করছে নিজেকে ছাড়াতে। এমন দৃশ্য টি ভাইরাল হতে চোখে পড়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনার শ্রী সৌমেন মিত্র আই পি এস কাছে। সেই দৃশ্য দেখার পর নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সব অফিসাররা। কলকাতা পুলিশের কমিশনার শ্রী সৌমেন মিত্র আই পি এস সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত ট্রাফিক সিভিক পুলিশ শ্রী তম্ময় বিশ্বাস কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। এবং সব পুলিশ বিভাগের প্রধান কে নির্দেশ দেন যে কলকাতা পুলিশের কর্মীরা সাধারণ মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন এবং সাধারণ মানুষের জন্য মানবিক হবেন। কোন ভাবে কলকাতা পুলিশের সুনাম অর্জন কে নস্ট করা যাবে না। তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে ট্রেনিং এর ব্যাবস্থা করতে হবে। কারণ ইদানীং কালে দেখা গেছে যে, কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট রা এক যায়গায় বসে আছে, আর ট্রাফিক সিভিক পুলিশ দিয়ে ডিউটি করছেন। এবং বেআইনি গাড়ি থেকে পয়সা তুলছেন এমন দৃশ্য দেখে যায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। দেখা যায় বেআইনি লোডিং করা গাড়ি পার করতে পঞ্চাশ টাকা কথাও একশত টাকা কোথাও কেস দেবার ভয় দেখিয়ে দশ টাকা পর্যন্ত হাত পেতে নিতে দেখা গেছে। কলকাতার ট্রাফিক, বিশেষ করে ধর্মতলা ও পার্ক সার্কাস সেভেন্ট পয়েন্ট এবং মনিকতলা রুবির মোড়ে গড়িয়াহাট এবং সাইন সিটি সহ বিভিন্ন যায়গায় এমন দৃশ্য দেখে যায়। অনেক সময় সিভিক পুলিশ বাইক চালকের গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নিতে দেখা গেছে পয়সার জন্য। এই সব কাজ কিছুতেই বরদাস্ত করবে না কলকাতার পুলিশ কমিশনার শ্রী সৌমেন মিত্র আই পি এস। তিনি কলকাতার এক্স সাইড মোড়ে ঘটনার জন্য ওখানকার ট্রাফিক গার্ড এর ওসি সহ ট্রাফিক গার্ড সার্জেন্ট এবং কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ বাহিনীর সকলকেই ডেকে সেই দিনের ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সাথে কলকাতার ট্রাফিক পুলিশের ডি সি শ্রী অরজিৎ সিনহা কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তিনি যেন কলকাতার ট্রাফিক গার্ড ও ট্রাফিক সিভিক পুলিশ কে মানবিক হাওয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ দেন। এবং কলকাতার ট্রাফিক পুলিশ এর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্রী দেবাশীষ বড়াল কে নির্দেশ দেন যে কলকাতা ট্রাফিক গার্ড ও পুলিশ সাধারণ মানুষের সাথে মানবিক ব্যবহার ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে চলে। কলকাতা পুলিশের সুনাম অর্জন কোন ভাবে নস্ট করা যাবে না।।