শীতকালীন এই সবজি আবাদ করে মাত্র দুই মাসেই লাভের আশা করছে সোনারগাঁ উপজেলার কৃষকগণ। এর সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার কৃষিতে যোগ হলো আরেকটি নতুন সবজি স্কোয়াশ।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের অভিমত, স্কোয়াশ কুমড়ার একটি ইউরোপীয় জাত, যা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও হার্টের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। স্কোয়াশ মূলত উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাষ হয়ে থাকে। স্কোয়াশ অনেকটা দেখতে শশা আকৃতির। এটি শশার মতো লম্বা হলেও রঙ মিষ্টি কুমড়ার মতো। উচ্চ ফলনশীল জাতের এ সবজি ভাজি, মাছ ও মাংসের তরকারিতে রান্নার উপযোগী, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। বিশেষ করে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সবজি এবং সালাদ হিসেবে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
স্কোয়াশ চাষ করে সোনারগাঁয়ে বারদী এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেছেন কৃষক মো.সোহেল। বর্তমান তার ক্ষেতে বিষমুক্ত স্কোয়াশের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, স্কোয়াশ আবাদের সুবিধা হচ্ছে অল্প সময়ে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে ফসল উৎপাদন করা যায়। তাছাড়া এক বিঘা জমিতে যে পরিমাণ কুমড়া লাগানো যায় তার চেয়ে দ্বিগুণ স্কোয়াশ লাগানো সম্ভব। পূর্ণবয়স্ক একটি স্কোয়াশ গাছ অল্প জায়গা দখল করে। স্কোয়াশের একেকটি গাছের গোড়ায় ৮ থেকে ১২টি পর্যন্ত ফল বের হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই খাওয়ার উপযোগী হয় এটি। বাজারে প্রতি কেজি স্কোয়াশ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। স্কোয়াশ দেখতে অনেকটাই লাউ আকৃতির।
সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার বলেন, স্কোয়াশ চাষে আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার বীজসহ সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। এবার এই উপজেলায় প্রথম স্কোয়াশ চাষ হচ্ছে। আগামীতে এই উপজেলায় আমরা ব্যাপকভাবে স্কোয়াশ চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করব।