আনিস খান হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতার রাজপথ,পুলিশ ও জনতার খন্ডযুদ্ধ।।
পশ্চিম বাংলার হাওড়ার আমতার কলকাতা আলিয়া ইউনিভার্সিটি প্রতিবাদী ছাত্র আনিস খান কে খুন করেছে আমতা থানার পুলিশ। এমন খবর ছড়িয়ে পড়তে গোটা পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন যায়গায় প্রতিবাদী ছাত্র ও জনতা রাস্তায় নেমে আসে। এবং পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ ও এই ঘটনার সাথে যুক্ত ব্যাক্তিদের গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তি র দাবি তে আজ কলকাতার বুকে আন্দোলন শুরু করে আম জনতা এবং প্রতিবাদী ছাত্র সংগঠন। তাদের দাবি পুলিশ পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে আলিয়া ইউনিভার্সিটি র প্রতিবাদী ছাত্র নেতা আনিস খান কে। এই খুনের ষড়যন্ত্র কারীদের মধ্যে আছেন হাওড়া জেলার গ্রামীণ পুলিশ সুপার ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সোনারপুর এর বিধায়ক শ্রীমতী লাভলি মিত্রের স্বামী। এবং তার সাথে যুক্ত আছেন হাওড়া জেলার আমতা থানার পুলিশ অফিসাররা। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি র দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল যখন কলকাতার কলেজ স্ট্রিট ও ধর্মতলা এবং মাওলালীর রামলীলা ময়দান থেকে অগ্রসর হতে থাকে তখন তাদের গতি রোধ করে কলকাতার পুলিশ। যা নিয়ে পুলিশের সাথে হাতাহাতি বেধে যায়। এই ঘটনার জেরে বহু ছাত্র ও প্রতিবাদী মানুষ কে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আনিস খান হত্যার পুরো ঘটনার তদন্ত করতে ১৫,জনের, একটি সীট কমিটি গঠন করে দিয়েছে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সত্বেও এই খুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর ব্যবস্থা নিতে কলকাতা হাইকোর্টে সি বি আই তদন্ত চেয়ে আবেদন করতে চলেছে মৃত আনিস খানের পরিবার। আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি র দাবি জানিয়েছেন বামফ্রন্টের নেতা শ্রী সুজন চক্রবর্তী এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা আব্দুল মান্নান ও ভারতের লোকসভার বিরোধী দলের নেতা শ্রী অধীর চৌধুরী এবং বিজেপি নেতা এবং পশ্চিম বাংলার বিধান সভার বিরোধী দলের নেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং এস ইউ সি আই এবং পশ্চিম বাংলার ফুরফুরা শরিফের পীর জাদা জনাব আব্বাস সিদ্দিকী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সমাজের গুনিজনেরা।।