লিটন সরকারঃ সুখবরটি হলো আশাশুনি সরকারি কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ প্রফেসর জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ স্যারের আন্তরিকতায় কলেজের এইচ, এস, সি (বিএম) শাখার দুইটি ট্রেডে ১০ টি করে মোট ২০ টি আসন বৃদ্ধি পেয়েছে অর্থ্যাৎ এলাকার আরও ২০ জন দূর্বল বা ঝরে পড়া ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হলো। এটা প্রিয় অধ্যক্ষ স্যারের সৃষ্টিশীলতা, মহানুভবতা, ও উচ্চ বংশ পরিচয়ের পরিচয় বহন করে।
এবার বলব একটি সূক্ষ্ণ ষড়যন্ত্রের কথা। কোন কিছু গড়া সহজ কিন্তু ভাঙতে গেলে সময় লাগে সর্বোচ্চ ১ মিনিট। যাইহোক, জনৈক এক কাপালী বাবুর আম্র কাননে এক আমাবশ্যার ভয়ালো রাতে কলেজের হাতে গোনা কয়েকজন ক্ষমতালোভী শিক্ষকমন্ডলী একটি ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত হয়। কলেজে যদি বিনা বাঁধায় রাজ করতে হয় তবে যে কোন মূল্যে বাংলা বিভাগের প্রভাষক শাহাদাৎ হোসেন টিটল, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক জি, এম, আখতার-উজ-জামান প্রিন্স ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ মিজানুর রহমানকে কলেজ থেকে বের করতে হবে অর্থ্যাৎ চাকরিচ্যুত করতে হবে। তাদের মদোদ দাতা হিসেবে প্রধান ভূমিকায় ছিল একজন নিচু মানসিকতার অধিকারী, একজন সংযুক্ত অধ্যক্ষ। (নাম বললাম না; তার নাম নিলে আমার অযু ভেঙে যায়।)
টিটল ও প্রিন্স যেহেতু কারিগরি অধিদপ্তর থেকে বেতন পায় সেহেতু বিএম শাখাকে বিলুপ্ত করতে হবে সবার আগে, তাহলে সহজেই তাদের দুজনকে কলেজ থেকে বার করে দেয়া যাবে। আরও জনবল রয়েছে! তাদের কি হবে? তাদের পরিবারের কি হবে? প্রায় ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে! তাদের অবস্থা কি হবে? কেউ ভাবলো না! ভাবলো শুধু নিজেদের ঘৃণ্য স্বার্থের কথা! উল্লেখ্য, বিএম শাখা প্রতিবছর রিনিউ করতে হয় নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে। নির্দিষ্ট কয়েক বছর তা না করলে কলেজ থেকে এ শাখা অটোমেটিক্যালি ভ্যানিশ হয়ে যায়। এবার সংযুক্ত অধ্যক্ষ তাদের নিয়ে সে পথেই হাঁটা শুরু করল। শাখা রিনিউ করা বন্ধ করে দিলো। পর পর দু বছর! আমরা বারবার বলা সত্ত্বেও! রিনিউ না করতে নানা ফন্দি এটে প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিতো বারবার। কিন্তু তারা কখনও ভাবে নি কত কষ্ট করতে হয় নতুন একটা ডিপার্টমেন্ট খুলতে। তাদের মানসিকতা “আমারটাতো ঠিক আছে; আর কি দরকার!” কিন্তু সংকীর্ণমনারা ভাবতে পারে না কলেজে বিভিন্ন ধরনের ডিপার্টমেন্ট খুললে কলেজটি সমৃদ্ধ হয়; নিজেদের সম্মান সমাজে বৃদ্ধি পায়; প্রতিদিন নিজ কর্মস্থলে ঢোকার সময় এক অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি হয়। আসলে এগুলো উপলব্দি করতে উন্নত মানসিকতার প্রয়োজন দরকার। আমরা অনেকে কত গর্ব করে মানুষকে বলি, “আমাদের ৮টা বিষয়ে অনার্স আছে; আমাদের বিএম কোর্স আছে; আমাদের ডিগ্রি কোর্স আছে; আমাদের বিএনসিসি আছে; আমাদের রোভার স্কাউট আছে, ইত্যাদি।
রাখে আল্লাহ, মারে কে! বর্তমান অধ্যক্ষ স্যার দেবদূত হয়ে আমাদের কলেজে অধিষ্ঠিত হলেন। চেয়ারে বসার পর প্রথম যে কাজটি করেন তা হলো বিএম শাখার নবায়ন। সে দিনই বুঝেছিলাম স্যার কত উদার, কত সৃষ্টিশীল! এবার আসন সংখ্যাও বৃদ্ধি করলেন। তিনি অচিরেই কলেজে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খোলার পরিকল্পনা করছেন। তার সামনে গেলে আমার মাথা শ্রদ্ধাভারে নত হয়ে যায়। আল্লাহ, স্যারের নেক পরিকল্পনাগুলোর কবুল করে নিন।