ভাগীরথীর শেষ প্রান্তে ডায়মন্ডহারবার পৌরসভার প্রচারে ঝড় তুললেন জেলা তৃনমূল দলের নেত্রী শ্রীমতী সঙ্গীতা হালদার।।
কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।।
আগামী ২৭,শে, ফেব্রুয়ারি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্গত ডায়মন্ডহারবার পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন হতে চলেছে। তার জন্য সব দলের প্রচার চলছিল। এই পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন কে কেন্দ্র করে বি জে পি ও বামফ্রন্ট এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দীর্ঘ একমাস সময় ধরে তারা পদ সভা রোড় শো এবং পাড়ায় পাড়ায় প্রচারের কাজ চালিয়ে যান কোভিড করোনা বিধিনিষেধ মেনে। আজ ছিল পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ডায়মন্ডহারবার পৌরসভার বহু ওয়াডে বি জে পি এগিয়ে ছিল। তার পর বিধান সভার নির্বাচনে কিছু টা পুরানো ভোট ফিরে পায় তৃনমূল দল। এই পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে এককভাবে ক্ষমতা দখল করতে আগাগোড়া উঠে পড়ে লেগেছে তৃনমূল দলের সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মন্ডহারবার লোকসভার এম পি শ্রী অভিষেক ব্যানার্জী। তার নির্দেশ ডায়মন্ডহারবার লোকসভার অন্তর্গত ডায়মন্ডহারবার পৌরসভা এলাকা নির্বাচন করার অনেকটাই দায়িত্ব পালন করার ভার পড়েছে মগরাহাট পশ্চিমের যুব তৃনমূল দলের সভাপতি জনাব ইমরান মোল্লা এবং মগরাহাট পশ্চিম থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার তৃনমূল দলের অন্যতম নেত্রী শ্রীমতী সঙ্গীতা হালদারের উপর। এরা দুই জনে ডায়মন্ডহারবার বিধান সভার বিধায়ক ও ডায়মন্ডহারবার পৌরসভা চেয়ারম্যান শ্রী পান্না লাল হালদার কে নিয়ে কমিটি গঠন করে এবং ডায়মন্ডহারবার লোকসভার আরেক তৃনমূল দলের দাপুটে নেত্রী শ্রীমতী মোহনী মোহন বিশ্বাস সহ ডায়মন্ডহারবার পৌরসভা এলাকার তৃনমূল দলের নেতৃত্ব কে নিয়ে প্রচার অভিযান পরিচালনা করেন। আজ প্রচারের শেষদিকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার তৃনমূল দলের নেত্রী শ্রীমতী সঙ্গীতা হালদারের নেতৃত্বে জোর প্রচার অভিযান শুরু হয়। এবং সেই প্রচার অভিযান সন্ধ্যা নামতে না নামতেই ভাগীরথী নদীর তীরে সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে প্রচার অভিযান শেষ হয়ে যায়। এবার দেখার বিষয় এই পৌরসভা ক্ষমতা দখল করতে পারেন কোন দল তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।।