শনিবার ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
নতুন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব। তিনি দক্ষতার সঙ্গে ধর্ম, আইন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁকে প্রথমে সংসদ সচিবালয়ের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেখানে যোগ দেননি। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যোগ দেন। তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে অবসরে যান ২০১৬ সালে।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। “জীবন পাতার জলছাপ ” ও ” ট্রাজেকটরি অব এ জুডিশিয়াল অফিসার” তাঁর উল্লেখযোগ্য বই।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি আইন হওয়ার পর ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি। গত মঙ্গলবার সার্চ কমিটি ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে। বৃহস্পতিবার কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেই নামগুলো জমা দেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে চার দফা বৈঠক করেছে। সার্চ কমিটির আহ্বানে রাজনৈতিক দল, ছয়টি পেশাজীবী সংগঠন ও নাগরিক সমাজের কাছ থেকে তিন শতাধিক নামের প্রস্তাব আসে। প্রস্তাবিত নাম প্রকাশও করা হয়েছে।
মূলত সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন ইসি গঠন করা হলো। আইন না থাকলেও এর আগে দুই দফা সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন করা হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর দেশে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানান, আজ শনিবার তারা অফিস করবেন। অফিস শেষে বোঝা যেতে পারে নতুন ইসি গঠনের তালিকা কখন চূড়ান্ত হবে।
সার্চ কমিটির পাঁচ সদস্য বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করে নামের তালিকা হস্তান্তর করেন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। ঐদিন বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্চ কমিটি তাদের রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছেন। তিনি সেটা গ্রহণ করেছেন। সেটা একটু এক্সামিন (পরীক্ষা) করবেন রাষ্ট্রপতি। এক্সামিন শেষে অতিসত্বর উনি নির্দেশনা দেবেন।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী যে ৫ জনের নাম রাষ্ট্রপতি সিলেক্ট করবেন। ঐ ৫ জনের নামই ঘোষণা হবে। সেই ৫ জনের নামেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। দু-এক দিনের মধ্যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রজ্ঞাপন জারি হবে।,
দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি অসম্ভব ভদ্র সৎ দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে প্রমাণ দিয়েছেন। এখন তিনি দলমতের উদ্ধে উঠে সবার কাছে আস্থা অর্জনের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন।আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করবেন।