মাজহারুল রাসেল : সোনারগাঁ উপজেলায় চলতি মৌসুমে লিচু গাছ মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে। এবারে গাছের এত মুকুল দেখে বাগান মালিকরা খুশি। তারা আশা করছে লিচুর বাম্পার ফলন হবে। এখন পর্যন্ত প্রাকৃতিক কোন ধরনের সমস্যা মুকুলের উপর কোন খারাব প্রভাব ফেলেনি। সামনের দিনগুলোতে যদি প্রকৃতি সহায় থাকে তাহলে লিচুর বাম্পার ফলনের পাশাপশি ভালো মুনাফা করতে পারবে এর সাথে সংশ্লিষ্টরা।
এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলার সর্বত্রই লিচু গাছে মুকুলে ভরে গেছে। বাগান মালিকরা এখন লিচুর ফুলগুলোকে রক্ষার জন্য ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ফুলগুলো যাতে ঝড়ে না পরে সে জন্য লিচু চাষিরা পানি, সেচ ও পোকা-মাকড় দূর করার জন্য কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে অনেক কৃষক, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী লিচুর বাগান গড়ে তুলেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হবে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলি ঘুরে দেখা যায়, ছোট বড় বাগান আছে প্রায় দুই শতাধিকের মতো এবং লিচুর চাহিদা ব্যাপক। আর সর্বপ্রথম লিচু পাকে এই উপজেলায়, তাই আগাম এখানের বাগানের লিচু দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে এখন অনেক লিচুর বাগান গড়ে উঠেছে।
উপজেলার পৌরসভা এলাকার প্রতিটি কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনায় কম করে হলেও ৭/৮ টি করে লিচু গাছ রয়েছে। এসব লিচুর বাগান থেকে অনেক লিচু উৎপাদন করা হয়। স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব লিচু পাঠানো হয়। এ উপজেলার প্রতিটি পাকা লিচুই গোলাপী রংয়ের, শাস মোটা ও রসে ভরপুর এবং এর গন্ধও অতুলনীয়। তাই সোনারগাঁয়ে সু-স্বাদু লিচুর চাহিদা দিন দিনই বাড়ছে।
ফলে এ উপজেলার অনেক লিচু চাষিই এ বছর মুকুল আসার আগেই লিচু গাছের ফল আগাম বিক্রি করে দিয়েছেন। মধুমাসে এ ফল বাজারে উঠবে।
সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এই উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক লিচুর বাগান রয়েছে। মাটি ও আবহাওয়া লিচু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার বলেন,সোনারগাঁয়ে বাণিজ্যিক ভাবে লিচু চাষ করে অনেক চাষিই লাভবান হচ্ছেন। ভালো ফলনের লক্ষ্যে লিচুর মুকুল রক্ষায় কৃষকরা নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস লিচু চাষিদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সেবা প্রদান করে আসছে।