জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীঃঃ
দ্বিতীয় দফা বর্ধিত সময়ের মধ্যে সুনামগঞ্জের হাওরগুলোতে কৃষকদের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ না করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির আয়োজনে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিলেট বিভাগের সাবেক শ্রেষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন – হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি সুখেন্দু সেন, যুগ্ম সম্পাদক নির্মল ভট্রাচার্য্য, সালেহিন চৌধুরী শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আলী হায়দার, মোদাচ্ছির আলম সুবল, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদনুর আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান, বাঁধ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, তাহিরপুর উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব হোসাইন শরীফ বিপ্লব, ছাতক উপজেলা কমিটির সভাপতি সমরুজ আলী মেম্বার, কৃষক আব্দুল আজিজ, মিনার মিয়া, জয়নাল মিয়া, জগলুল মিয়া, জিতু মিয়া প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক আনোয়ারুল হক,হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আলীনুর, স্বপন দাশ, চন্দন রায়,প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান,তথ্য সম্পাদক বিমল বনিক, সদস্য রবিন্দ্র দেব, ফারুক আহমদ, এম আর শামীম তালুকদার প্রমুখ। এছাড়াও শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি জিয়া উদ্দিন,শৈলেন সূত্রধর, শিমুলবাঁক ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, তাহিরপুর উপজেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইদুল কিবরিয়া, তুজাম্মিল হক নাছরুম, সদস্য গোলাম মওলা, একরাম হোসেন।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, হাওরের কৃষকদের একমাত্র বেচেঁ থাকার অবলম্বন বোরো জমিতে সোনালী ফসল ফলানোর পর ফসল রক্ষা করার জন্য সরকার প্রতি বছর শতকোটি টাকার উপর বরাদ্দ দিয়ে থাকে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু দুর্নীতিবাদ কর্মকর্তার যোগসাজসে অদক্ষ ভূমিহীনদেরকে টাকার বিনিময়ে পিআইসি কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক করে দেন। ফলে নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও বাধঁগুলো থেকে যায় অরক্ষিত। তারা বিলের অজুহাতে কাজে ধীরগতি এমন দোহাই দিয়ে সময় কালক্ষেপন করে যাচ্ছেন ফলে দিন দিন কৃষকরা অরক্ষিত বাধঁ দেখে তাদের কষ্টার্জিত সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কি না, নাকি অকাল বন্যায় ফসল ভাসিয়ে নিবে এমন আশংঙ্কায় দিন কাটছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলরা কেন সময় মতো প্রতিটি পিআইসি কমিটিকে বিল পরিশোধ করছেনা এমন অভিযোগ হাওর বাচাঁও কমিটির নেতৃবৃন্দের । তারা দাবী করেন সঠিক তদারকি এবং সময়মতো পিআইসির বিল পরিশোধ করলে নির্ধারিত সময়ের আগেই জেলার প্রতিটি বাধেঁর কাজ সম্পন্ন হতো। অবিলম্বে যে সকল বাধঁগুলোতে অনিময় আর দুর্নীতি হচ্ছে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমাদানের পাশাপাশি দ্রুত গতিতে সকল অরক্ষিত বাধেঁর কাজ সম্পন্ন করা এবং পুরাতন বাধেঁ অতিরিক্ত বরাদ্দ বাতিল করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান। ##