আরিফুল ইসলাম আশাঃ সাংবাদিকতায় কৃতিত্বপূর্ন অবদানের জন্য জেলার সাহিত্য পরিষদ সম্মাননা সনদ লাভ করলেন দৈনিক যুগান্তরের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী। একুই সময়ে সাহিত্যসেবায় অনবদ্য ভূমিকার জন্য আরও পুরষ্কার লাভ করেন সাহিত্যিক হোসেন উদ্দিন হোসেন, প্রফেসর আব্দুল মান্নান, প্রফেসর কাজী মোঃ অলিউল্লাহ্, প্রফেসর গাজী আজিজুর রহমান, সাহিত্যিক জাকির তালুকদার ও কবি ফারুক মাহমুদ।
শনিবার জেলা সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত বার্ষিক সম্মেলন ও কর্মশালা শেষে তাদের হাতে এই সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সাবেক সিনিয়র সচিব এবং সাতক্ষীরার এক সময়ের জেলা প্রশাসক বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক আব্দুস সামাদ ফারুক। এসময় অতিরিক্ত সচিব মোঃ রইস উদ্দিন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবির ও বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আবুল কালাম বাবলা অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
সাতক্ষীরা শহরের অদূরে তুফান কনভেনশন সেন্টারে জেলা সাহিত্য পরিষদ সভাপতি শহীদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে জেলার সব উপজেলার কবি সাহিত্যিকরা উপস্থিত ছিলেন। এতে জেলার সাহিত্য পরিষদের প্রকাশনা ‘ভোর’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
সাহিত্য পরিষদ সম্পাদক ম. জামান ও শামিমা পারভিন রত্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক আব্দুস সামাদ ফারুক বলেন, সাহিত্য মানুষকে পরিশীলিত করে। মানুষের অন্তর্নিহিত সত্ত্বার বিকাশ ঘটায় কবিতা ও সাহিত্য। সাহিত্যসেবার মধ্য দিয়ে একটি শান্তিপূর্ন সুখময় সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, কবিতায় রয়েছে দেশপ্রেম, মানবপ্রেম, প্রকৃতিপ্রেম ও ঈশ্বরপ্রেম। যুদ্ধবিগ্রহ, হানাহানি, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শান্তির বানী শোনায় এই কবিতা, এই সাহিত্য। সাতক্ষীরায় অনেক কবি ও সাহিত্যিকের জন্ম হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের পথ অনুসরন করে আপনাদের এগিয়ে যেতে হবে। আপনাদের মধ্যে জাগরিত করতে হবে সাহিত্যশিল্পী সত্ত্বা।
এতে বিষয়ভিত্তিক আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, অধ্যাপক আবু নসর, প্রফেসর মোজাম্মেল হোসেন, হেনরি সরদার, কবি শুভ্র আহমেদ, সঙ্গীতশিল্পী আবু আফফান রোজবাবু প্রমুখ। পরে আয়োজন করা হয় কবিতা পাঠের আসর। তাদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় সনদপত্র। —————