মোল্লা তানিয়া ইসলামঃ কথায় বলে, ধ্যানের চর্চা হয় গুহায়, ধর্মের চর্চা হয় মসজিদ-মন্দিরে, নীতির চর্চা হয় পরিবারে, বিদ্যার চর্চা হয় বিদ্যালয়ে অর্থাৎ জাগতিক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের জন্য প্রয়োজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান । শিক্ষা লাভের স্তরভেদে আমরা বলি বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি । এসব প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা যে জ্ঞান বা শিক্ষা লাভ করি, তা ফরমাল বা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা । এমনই একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রজাধানীর উত্তর সীমান্ত ঘেঁষা তুরাগ থানা এলাকায় অবস্থিত কামারপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ । সেই ১৯৭৭ সাল থেকে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি । এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক অনেক শিক্ষার্থী এখন দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন । তারা কামারপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী পরিচয় দিতে গৌরববোধ করেন । ১৯৭৭ ইং সালে, বীর- মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আবুল হাসিম চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে, হরিরামপুর সাংস্কৃতিক সংসদের উদ্যোগে, এলাকার শিক্ষিত যুবকদের সমন্বয়ে, শিক্ষা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে, প্রতিষ্ঠিত করা হয় কামারপাড়া স্কুল নামে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি । সুনামের সহিত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করে ২০১০ইং সালে প্রতিষ্ঠাতাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় উক্ত স্কুলটির সাথে গড়ে তুলেন একটি কলেজ । পরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নামকরন করা হয় কামারপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ । বর্তমানে কামারপাড়া স্কুল এন্ড কলেজর গভর্নিং বডির সভাপতি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪নং ওয়ার্ডের জননন্দিত কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ ও সকল সদস্যদের দিক নির্দেশনায়, বিচক্ষণ অধ্যক্ষ খুরশিদ জাহানসহ অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষক- শিক্ষিকাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং বিভিন্ন রকম কৌশল অবলম্বনে কামারপাড়া স্কুল এন্ড কলেজটি বর্তমানে একটি আধুনিক শিক্ষা বিস্তারের ভাণ্ডারে পরিণত হয়েছে ।
বর্তমানে সুশীল সমাজ ও দক্ষ জাতি গঠনের লক্ষ্যে সুশিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অন্তর্নিহিত গুণাবলির সার্বিক বিকাশসাধন, মূল্যবোধ সৃষ্টি ও মানসিক উৎকর্ষের বৃদ্ধি ঘটিয়ে, শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমিক আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে শত বাঁধা অতিক্রম করে, শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশে, অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কামারপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডি, শিক্ষক- শিক্ষিকাসহ এলাকাবাসী ।