✍️নলতা হাইস্কুলের লেখক সাহিত্যিক✍️ পর্ব- ০৭
🟤 আফজাল হোসেন (১৯৫৪-)
আফজাল হোসেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা, খ্যাতিমান উপস্থাপক, নাম করা চিত্রশিল্পী, অজস্র জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটকের রচয়িতা ও নির্মাতা। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনচিত্রের আধুনিকতা এবং জনপ্রিয়তার জন্য তাকে প্রধান কীর্তিমান বলা হয়ে থাকে। শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর তিনি বাংলাদেশের জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক’ লাভ করেছেন।
আফজাল হোসেনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৯ জুলাই সাতক্ষীরার পারুলিয়ায়। ১৯৭০ সালে তিনি নলতা হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। ২০১৭ সালে নলতা হাইস্কুলের শতবর্ষের স্মরণীয় আয়োজনে তিনি শতবর্ষ স্মারক বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আফজাল হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় স্নাতক। ছাত্রজীবনে ১৯৭৫ সালে তিনি ঢাকা থিয়েটারের সাথে যুক্ত হয়ে অভিনয় ও প্রযোজনায় প্রশংসিত হন। ক্রমশ তিনি হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের কিংবদন্তি।
অভিনয়, উপস্থাপনা বা নির্মাতার বাইরে আফজাল হোসেনের আরেকটি প্রখর পরিচয় হচ্ছে তিনি একজন কবি ও সাহিত্যিক। এখনো পর্যন্ত তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা এক ডজনেরও অধিক। উপন্যাস, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ও ভ্রমনকাহিনীতে তার সমান উপস্থিতি।
শিল্পকলার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চায় অবদানের জন্য তিনি অনেক সাহিত্য পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। তিনি দু’বার ’সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেছেন। ২০১১ সালে প্রথম বার ‘শুধু একটাই পা’ কাব্যগ্রন্থের জন্য এবং ২০১৮ সালে আবারো ‘১৯ নং কবিতা মোকাম’ কাব্যগ্রন্থের জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন। এ বছর তিনি ‘সেলিম আল দীন লোকনাট্য পদক’ লাভ করেন।
তার রচনাবলীর মধ্যে অন্যতম-
– বিরহকাল
– কানামাছি
– পারলে না রুমকি
– কুসুম ও কীট
– তিন নারীর পাঠশালা
– শুধু একটাই পা
– কোনো জোনাকি এ অন্ধকার চেনে না
– কথায় কথায় রাত
– ১৯ নং কবিতা মোকাম
– জাহাঙ্গীর বাদশার ঘোড়া
তথ্যসূত্রঃ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লাঃ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রভাষক মনিরুল ইসলাম প্রিজম।