মনিরামপুর প্রতিনিধি।।
প্রদীপ রায় চৌধুরী
মণিরামপুরের পাতন জুড়ানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে চরম অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নীতিমালার তোয়াক্কা না করে দুইজন সিনিয়র শিক্ষককে ডিঙ্গিয়ে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করার হয়েছে। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি এ নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, মণিরামপুর পৌর এলাকার পাতন জুড়ানপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ভগিরথ মোড়ল অবসরপ্রাপ্ত হলে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক পদ শুন্য হয়। এরপর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে। এরপর নিয়মিত পরিচালনা কমিটির এক সভায় নিয়মিত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। পরবর্তীতে চলতি বছরের ২১ মে শুন্য পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর কিছুদিন পর ম্যানেজিং কমিটির মৌখিক আদেশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদ হতে অব্যহতি নেন।
এরপর বিদ্যালয়ের জৈষ্ঠ শিক্ষক শিল্পী রানী দাসকে উপেক্ষা করে ইব্রাহীম হোসেনকে দিয়ে নিয়মিত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এক প্রকার তড়ি ঘড়ি করেই ৩০ জুন স্থানীয় সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে সেলিনা খাতুন নামের একজনের নিয়োগ চুড়ান্ত করে। পরবর্তীতে জুলাই মাসের ১৯ তারিখে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তাকে নিয়োগপত্র প্রদান করলে তিনি ২১ জুলাই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।
অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি প্রায় পচিশ লাখ টাকার বিনিময়ে সেলিনা খাতুন নামের ওই আবেদনকারীকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতেই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ দুই জন জৈষ্ঠ শিক্ষককে উপেক্ষা করে তুলনামুলক জুনিয়র কৃষি শিক্ষক ইব্রাহীম হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করে। এনিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক ও এলকাবাসীর মাঝে চরম অসেন্তাষ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুন জানান, প্রধান শিক্ষক ভগিরত মোড়ল অবসরে যাওয়ার পর থেকেই আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত কার্য্যক্রম শুরু হলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি আমাকে মৌখিক নির্দেশ দিলে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ হতে পদত্যাগ করেছিলাম।
অপর জৈষ্ঠ শিক্ষক শিল্পী রানী জানান, আমাকে কোন প্রকার অবহিত না করেই জুনিয়ার শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ বিষয়য়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।