নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসা শাস্ত্রে অনবদ্য অবদানের জন্য ২০২০ সালের খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা স্বর্ণপদক পেলেন বিশিষ্ট কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন-অর-রশিদ। ২৭ অক্টোবর ২০২২, বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এ পদক তাঁর হাতে তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম।
অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, আজ যার নামে এ পদকটি দেয়া হচ্ছে সেই খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা বহুমুখী প্রতিভার মানুষ। তিনি একজন ক্ষণজন্মা মানুষ। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তিনি যে অবদান রেখেছেন সেটা সবার সামনে আসা দরকার।
তিনি আরও বলেন, খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ধর্মভীরু ছিলেন। কিন্তু ধর্মান্ধ ছিলেন না। তাঁর জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
অধ্যাপক ডা. হারুন-অর-রশিদ বলেন, কীভাবে কিডনি ডায়ালাইসিসে খরচ কমানো যায় ও সূচনাতেই কিডনি রোগের নির্ণয় করে নিরাময় করতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মানুষকে সচেতন করানো অনেক কঠিন কাজ। এ কঠিন কাজটিই আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বয়স ৪০ বছর হলেই একজনের ইউরিন ও ব্লাড সুগার টেস্ট করা জরুরি। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে হাঁটতে হবে।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয় ও সাউথ-ইস্ট বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য এবং খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এম শমশের আলী, কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এবং রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনি ফেরদৌস রশিদ। স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্বের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পাঠ করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী শরীফুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. এম এহ্ছানুর রহমান।
সমকালীন কৃতি ব্যক্তিত্বদের প্রতিভা ও অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতিবছর জাতীয় পর্যায়ের একজন কৃতি ব্যক্তিত্বকে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা স্বর্ণপদক প্রদান করে আসছে। ২০২০ সালের পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব দেশের স্বনামধন্য কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা: হারুন-অর-রশিদ।
এই পদকের মূল্যমান ২ ভরি পরিমাণ একটি স্বর্ণপদক, নগদ দুই লক্ষ টাকা, মনোগ্রাম সম্বলিত একটি ক্রেস্ট, একটি সনদপত্র ও খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) রচিত বই।