শেরপুর, নকলা প্রতিনীধি
মোঃশফিকুল ইসলাম
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় মাটি যেকোন মৌসুমী ফল চাষের জন্য উপযোগী । এখনকার কৃষকরা মৌসুমেী ফল চাষে ঝুকেছেন এবং সফল হচ্ছেন। তারা এই মৌসুমী ফলের আয়ে এবং লাভের টাকায় তাদের সংসার ও ছেলে মেয়ের শিক্ষা খরচ চালান। মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে য়ায় তারা দীর্ঘদিন ধরে সারা বছর বিভিন্ন মৌসুমী ফলের ব্যবসা করে আসছেন। এর মধ্যে আমড়া, জলপাই, জাম্বুরা, আম,জাম,কাঁঠাল, বেল উল্লেখযোগ্য। মৌসুমের শুরুতেই তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অগ্রীম টাকা দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম দামে ফল গাছ মালিকের কাছে চুক্তিতে ফলসহ গাছ কিনে রাখেন। এসব ফল পরিপক্ব হলে গাছ থেকে পেড়ে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বিক্রি করেন তারা। তারা জানান মাসে অন্তত ৮ থেকে ১০ বার ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকে করে মৌসুমী ফল সরবরাহ করেন। তাদের দেয়া হিসাব মতে, বছরে অন্তত শতবার বিভিন্ন ফলের চালান পাঠানো সম্ভব হয়। প্রতিচালানে ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা করে তাদের লাভ থাকে। এতে করে প্রতি পাইকারের বছরে এক লাখ থেকে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা পযন্ত লাভ হয়।এ লাভের টাকাতেই চলে তাদের সংসার ও ছেলে মেয়েদের শিক্ষা খরচ। মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ জানায় তাদের মুলধন কম থাকায় তারা তিন জন মিলে যৌথ ব্যবসা করেন। এবছর তারা প্রতি জনে দশ হাজার টাকা করে মোট এিশ হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। এর মধ্যে পনেরো হাজার টাকা দিয়ে অন্তত পচিশটি গাছের জলপাই চুক্তিতে কিনেছেন। এইসব গাছের জলপাই গাছ থেকে পেড়ে ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছাতে আরও পনেরো হাজার টাকা ব্যয় হবে বলে জানান। তবে মৌসুম শেষে এই এিশ হাজার টাকার জলপাইয়ের একমাসের ব্যবসাতে তাদের ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন। মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা জানান সরকার যদি সহজ ঋণে তাদের জন্য ব্যাংক লোনের ব্যবস্তা করে তাহলে তাদের দেখা দেখি অনেকে এ ফলের ব্যবসা করে আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বি হতে পারবেন। ফলে কিছুটা হলেও বেকারত্ব কমবে বলে মনে করছেন অনেকে। নকলা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আ. ওয়াদুদ জানান, নকলার মাটি জলপাই সহ যেকোনো মৌসুমী ফল চাষের জন্য উপযোগী। এসব গাছের জলপাই বেশ বড় ও সুস্বাদু ; তাই দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখানে উৎপাদিত জলপাইয়ের বেশ চাহিদা রয়েছে। তিনি আরও বলেন ফল চাষে কৃষকদের নিয়মিত উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ সেবা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।