বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
গণমাধ্যমের অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় সভা আয়োজনসহ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জনাব বাহারুল আলম নতুন সিইসি নাসির উদ্দীনের পরিচয় কালিগঞ্জে আছিয়া লুতফর প্রিপারেটরি স্কুলে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত সলেমান মামুন ব্যারিস্টার সুমন দুই দিনের রিমান্ডে ডিএমপির ৩৮তম পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা আলেমরাই এক দিন এদেশে নেতৃত্ব দেবেন।।ধর্ম উপদেষ্টা কে এই নতুন ডিএমপি কমিশনার? দৌলতপুরে বসতবাড়িতে ডাকাতির সময় মা-ছেলেকে হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

দেশটা তো শুধু সরকার আর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের নয় ।

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৩, ১২.০১ এএম
  • ৭৬ বার পঠিত
আমাদের দেশের দলীয় রাজনীতিতে সভা-সমাবেশে বড় বড় কথা বলা আর কাজে কোলাবরেটর-এর ভূমিকা পালন করা নেতৃবৃন্দের সংখ্যা একেবারে নেহাত কম নয়। আসলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আজ ন্যায়-নীতি- মূল্যবোধ এবং জনস্বার্থের প্রতি বিশ্বস্ত লোকের সংখ্যাই বিরল। এরই মধ্যে রক্তক্ষয়ী এক জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার পাঁচদশক পেরিয়ে গেলেও, এই সময়ের মধ্যে আমাদের দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক ঘটনাই ঘটে গেছে। নির্বাচিত-অনির্বাচিত অনেকে ক্ষমতায় এসেছেন, আবার অনেকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে যারাই পদচারণা করেছেন তাদেরকেও জনগণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভূমিকায় দেখার সুযোগ পেয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করার সময় অনেক দলনেতাকেই বড় বড় কথা বলতে দেখা গিয়েছে। অনেকেই আবার ব্যক্তি ও দলের স্বার্থে বিপ্লবী বুলি আর রক্ত গরম করা স্লোগান দিয়ে দলীয় কর্মীদের উত্তেজিত করেছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত কথা আর কাজে কোনো সঙ্গতি রক্ষা করা অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের পক্ষেই সম্ভব হয়নি। দল পরিচালনায় প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা জনগণের রায় প্রার্থনা করেন এবং নির্বাচনী ইশতেহারে বক্তৃতা-বিবৃতিতে দুনিয়ার সবকিছু দিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। অথচ নির্বাচন পেরুলে তারা সবাই সংকীর্ণ স্ব-স্বার্থ ছাড়া অন্যান্য সব কিছুই বেমালুম ভুলে যান। বাংলাদেশের রাজনীতি-অর্থনীতিতে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ নেতৃত্বের অভাবে গত একান্ন বছরে কিছু মানুষ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন আর ব্যাপক জনগোষ্ঠী নিঃস্ব হয়েছেন। কিছু মানুষের জৌলুস বেড়েছে আর ব্যাপক জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ধরনের বঞ্চনা-দুর্দশা সম্প্রসারিত হয়েছে।
অপ্রিয় হলেও সত্য- এই পাঁচদশকের মধ্যেই স্বাধীন দেশের মানুষ রাজনৈতিক দলগুলোর চেহারা এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য একাধিকবার দেখেছেন। দেখেছেন বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও রাজপথে গরম গরম বক্তৃতা আর রাতের আঁধারে দল-ব্যক্তির স্বার্থে দেন-দরবার চালাবার উৎকৃষ্ট প্রয়াস। তাঁরা আরও দেখেছেন ব্যক্তির যাদুমন্ত্রে কতোই না দলীয় নেতৃবৃন্দকে রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করতে। একই সাথে তাঁরা দেখেছেন কতো রাজনৈতিক দলের ভাঙ্গা-গড়াসহ উত্থান-পতন। এমনকি– তাঁরা আরও দেখেছেন দেশের ছোট-খাটো রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বড় বড় দলের নেতৃবৃন্দ পর্যন্ত মুখে বলেন এক আর কাজে করেছেন ভিন্ন। ইতিমধ্যেই এই সুযোগসন্ধানী-অতিউৎসাহী নেতৃবৃন্দের স্বার্থের মাশুল যোগাতেই অভাগা স্বাধীন দেশের জনসধারণের নাভিশ্বাস উঠেছে। এই কোলাবরেটর-এর ভূমিকা পালনের জন্যে রাজনীতি, রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্পর্কে জনমনে যে শ্রদ্ধাবোধ ছিল তা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের এই শুন্যতার সুযোগে অনেকের পক্ষেই বিজয়ের একান্ন বছর পরেও স্বাধীন দেশের জনমানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে অধিকারহীন করে রাখা সম্ভব হয়েছে। তাই বলতে দ্বিধা নেই, এই দেশটা কী শুধু সরকার আর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের? এমনকি বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে, এই সুযোগসন্ধানী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর রাজনৈতিক সংকটকালীন সময়ে জনসাধারণের পাশে থাকেন না। এরা যা কিছুই করেন না কেন, স্ব-স্বার্থ আর লোক দেখানো আত্মপ্রচার-প্রচারণার জন্যই তা করে থাকেন।
আমাদের সমকালীন রাজনীতির যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এই বৈশিষ্ট্য যতোদিন বহাল থাকবে ততোদিন আর যা-ই হোক; জনসাধারণ সুযোগসন্ধানী-অতিউৎসাহী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করতে পারে না। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা যদি মনে-প্রাণে চান যে দেশের মানুষের অধিকার থাকা দরকার, রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের অংশীদারিত্ব থাকা দরকার: তাহলে তাদের প্রত্যেককেই প্রকাশ্যে এককথা আর গোপনে ভিন্ন কাজ করার মানসিকতা সর্বত্রভাবে পরিত্যাগ করতে হবে। তাদের সবারই মনে রাখা উচিত, দেশটা তো শুধু সরকার আর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের নয়। এর বাইরেও বিপুল জনগোষ্ঠী রয়েছে। যাদেরকে পাশ কাটিয়ে দেশের মঙ্গল সাধন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এই মূহুর্তে বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দরকার মানুষের পাঁচ ধরনের স্বাধীনতা, যার অন্তর্ভূক্ত অর্থনৈতিক সুযোগ, সামাজিক সুবিধাদি, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, স্বচ্ছতার গ্যারান্টি ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা।
তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে- এ সমস্যা সমাধানের জন্য দল-মত এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জনকল্যাণকামী রাজনৈতিক আদর্শভিত্তিক নেতৃত্ব আর জনগণের স্বার্থপূর্ত অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করে একটি আত্মদায়বদ্ধ সামাজিক সংগঠন প্রজন্মের চেতনা।
লেখক :ছাব্বিবুর রহমান
এমএসএস”সমাজকর্ম “ ঢা বি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
      1
23242526272829
30      
  12345
20212223242526
2728293031  
       
15161718192021
2930     
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com