রাঙামাটি প্রতিনিধি »
রাঙামাটি থেকে কাঠ ভর্তি করে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার সময় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের দেপ্পোছড়ি এলাকায় ট্রাকে ভারি আগ্নিয়াস্ত্র দিয়ে অতর্কিত ব্রাশ ফায়ার করেছে একদল উপজাতীয় সন্ত্রাসী। এতে করে ট্রাকটির ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় ট্রাকের চালক ও হেলপার।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন দেপ্পোছড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কাঠ বোঝায় ট্রাকের তেলের ট্যাংকসহ গাড়ির বিভিন্ন স্থানে ১৩টির মতো গুলি লেগেছে।
রাঙামাটি সদর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যদের সাথে নিয়ে আমি ও কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল তল্লাসি করে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
তিনি আরও জানান, কে বা কাহারা এই ঘটনার সাথে জড়িত সেটি আমরা খুঁজে দেখার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি।
ট্রাকের চালক নজরুল জানান, তিনি রাঙামাটি থেকে কাঠ বোঝাই করে মানিক ছড়ি চেকপোষ্টে সকল প্রকার কাগজপত্র চেকিং শেষে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দিয়ে দেপ্পোছড়ি নামক এলাকায় আসলে ভারি অস্ত্রসস্ত্র সজ্জিত ৭-৮ জনের একদল উপজাতীয় সন্ত্রাসী রাস্তার উল্টো দিক থেকে তার ট্রাকে অতর্কিত ব্রাশ ফায়ার শুরু করে। এসময় ট্রাকের তেলের ট্যাংক ছিদ্র হয়ে তেল পড়তে থাকলেও প্রাণ রক্ষায় গাড়িটি চালিয়ে তিনি চম্পাতলি এলাকায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে রাস্তার ওপর ট্রাকটি রেখে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাগড়া আর্মি ক্যাম্পে আশ্রয় নেন।
এদিকে ঘটনার পরপরই মানিকছড়ি থেকে ঘাগড়া পর্যন্ত সড়কে নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগেও ঘটনাস্থলেই রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক রক্ষায় ধারক দেয়াল নির্মাণ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনডিই’র গাড়িতে দুই দফায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল উপজাতী সন্ত্রাসীরা। সেই দেপ্পোছড়ি এলাকাতেই আজ বুধবার বেলা ১১ টার সময় প্রকাশ দিবালোকে একে-৪৭ এর মতো ভারি অস্ত্রদিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে কাঠভর্তি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠনের সন্ত্রাসীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। রাঙামাটি শহরের উপকণ্ঠে এই ধরনের ঘটনায় সর্বত্রই আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।