মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১১:০৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
তুই কথা।। মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন নলতায় রমজানকে সামনে রেখে খাদ্য সামগ্রী ও কাপড় প্রদান করলেন জাহিদুল হক কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের ৪০বছর পূর্তিতে র‌্যালী, গুণীজন সন্মননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত কেক কেটে ‘উদীয়মান সূর্য’ ছবির ডাবিং শুরু ইবিতে মেসডার নবীন বরণ প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত  সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী জন্মস্থান না’হলেও জীবনের রঙিন সময়গুলো এখানে কাটিয়েছি- পারভীন সুলতানা মৃত্যু বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা যিনি দিতি নামে বেশি পরিচিত গড়েয়া হাট ব্রাক এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার উদ্যোগে ক্রেষ্ট বিতরণ প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে দুনিয়া প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে হঠাৎ ফাঁকা আরাভ জুয়েলার্স, কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ-ভারত-দুবাই
পাবনা জেলা আওয়ামীলীগে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার আসামি বিএনপি পরিবারের সন্তান

পাবনা জেলা আওয়ামীলীগে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার আসামি বিএনপি পরিবারের সন্তান

মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটার:পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে স্থান পেয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা হত্যার আসামি ও বিএনপি পরিবারের সন্তান। সম্প্রতি ঘোষিত পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পাবনা জেলা শাখার ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতার হত্যা মামলার আসামী এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মিন্টু। এবং তিন নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বিএনপি পরিবারের সন্তান কামরুজ্জামান উজ্জল। তবে এ কমিটির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে জেলা আওয়ামীলীগ।

অভিযোগ রয়েছে, কামরুল হাসান মিন্টু ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগ নেতা রঞ্জু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। ১৯৯৬ সালে জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ছাত্রলীগের তত্কালীন আরেক নেতা ফুল’কে হত্যা করা হয়। রঞ্জুর ভাই ছিলেন ফুল। পরবর্তীতে বিএনপির সময়ে, ছাত্রলীগের হত্যাকারী থেকে রাষ্ট্রপতি মারছি নিয়েছিলেন মিন্টু।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের তিন নাম্বার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে কামরুজ্জামান উজ্জলকে। অভিযোগ আছে, কামরুজ্জামান উজ্জল বিএনপি পরিবারের সন্তানএবং চাচা বিএনপি এমপি ছিলেন ২০০১-২০০৬ সেলিম রেজা হাবিব সাবেক এমপি। তার বাবা ২০০৯ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সেলিম রেজা হাবিবের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন। তার পরিবার দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তার পেছনে মদদদাতা হিসেবে কাজ করছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশ কাণ্ডের ঘটনায় আলোচিত ঠিকাদার শাহাদত হোসেন।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স বলেন, কামরুল হাসান মিন্টু বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ২০২০ সালের দিকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। কিন্তু সম্প্রতি ঘোষিত কমিটিতে তাকে এক নম্বর যুন্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসা নেতা-কর্মীরা ক্ষুদ্ধ হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে কেন্দ্রে এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, এতো অল্প সময় ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়ার পরপরই এতো বড় পদবী দেওয়া ঠিক হয়নি।
জানা গেছে, ১৯৯২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন মিন্টু। পরবর্তীতে তিনি পাবনা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে সম্প্রতি ঘোষিত পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। কিন্তু কেউ বিএনপি থেকে হঠ্যাৎ করে এসে ভালো পদবি পেয়ে যাবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। সম্প্রতি ঘোষিত কমিটিতে তিন নাম্বার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে কামরুজ্জামান উজ্জলকে। সে বিএনপি পরিবারের সন্তান।

তিনি আরও বলেন, এই কামরুজ্জামান উজ্জলের পেছনে মদদদাতা হিসেবে কাজ করছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশ কাণ্ডের ঘটনায় আলোচিত ঠিকাদার শাহাদত হোসেন। আমরা ছাত্র অবস্থা থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে এসে এদেরকে কমিটিতে এত বড় পদবীতে মেনে নিতে পারি না।
এদিকে কামরুজ্জামান উজ্জল নিজেকে দাবি করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটি তথ্য গবেষণার সদস্য। তাকে এই পদবী ব্যবহার করে পোস্টারিংও করতে দেখা গেছে। তবে তিনি এই কমিটির কোনো সদস্য ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের তথ্য গবেষণা উপকমিটির সদস্য রায়হান কবির লিপন।

Print Friendly, PDF & Email

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Comments are closed.




© All rights reserved © MKProtidin.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com