মোঃ সাইফুল ইসলাম
(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজারা হাটে নিখোঁজ প্রকৌশলীর লাশ কুড়িগ্রাম সদরের একটি পুকুর থেকে উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ ৪ আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাজারহাট আমলী আদালতের বিচারক লিটন চন্দ্র রায় এই আদেশ দেন। রিমান্ডে থাকা আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর তালতলা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে সোহেল রানা (২২), হাসপাতালপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম রবির ছেলে মমিনুল ইসলাম (১৯) ও দক্ষিণ হাসপাতালপাড়া গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে ফেরদৌস প্রান্ত (১৯) এবং কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত নুর মোহাম্মদ আপেল। আপেলকে নজরদারিতে রাখার পর মঙ্গলবার গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিষয়টি রাজারহাট আমলী আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ফারুক হোসেন নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় শহরের হাসপাতাল সড়কের পাশে আরডিআরএস কার্যালয়ের পেছনের পুকুর থেকে মাহমুদ উল ফেরদৌস মামুন (২৮) নামের প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের ছিনাইহাট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছবরুল হকের ছেলে। গত ৯ই অক্টোবর দুপুরে বাসা থেকে কুড়িগ্রাম শহরে এসে তিনি নিখোঁজ হন। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় তার বড় ভাই মাহবুবুল ফেরদৌসের মুঠোফোনে একটি অজানা নম্বর থেকে কল আসে এবং তার ভাইকে আটকে রাখার কথা জানায়। দ্রুত ৫ হাজার টাকা দিলে তবেই তার ভাইকে ছেড়ে দেবে বলে জানায়।
পরে তার বাবা ছবরুল হক রাজারহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে পুলিশ গত ১৫ই অক্টোবর রাতে ৩ তরুণকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরের দিন সোমবার (১৬ই অক্টোবার) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ওই পুকুর থেকে মামুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমীন বলেন, সঠিক তথ্য জানতে আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।