১. ডিম
নিয়মিত ডিম খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি হলো এই খাবার চুলের জন্যেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন এবং বায়োটিনের একটি দুর্দান্ত উত্স ডিম। চুলের বৃদ্ধির জন্য এই দুটি পুষ্টি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। চুলের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ চুলের ফলিকল বেশিরভাগ প্রোটিন দিয়ে তৈরি। গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়েটে প্রোটিনের অভাব থাকলে চুল পড়া বেড়ে যায়। কেরাটিন নামক চুলের প্রোটিন তৈরির জন্য বায়োটিন অপরিহার্য, এই কারণেই বায়োটিন সম্পূরকগুলো প্রায়শই চুলের বৃদ্ধির জন্য বাজারজাত করা হয়। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যাদের বায়োটিনের ঘাটতি রয়েছে, তাদের বেশি বায়োটিন গ্রহণ করার পর চুল আগের তুলনায় দ্রুত বেড়েছে। তাই শীতে চুল পড়া রুখতে নিয়মিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
২. চর্বিযুক্ত মাছ
স্যামন, হেরিং এবং ম্যাকেরেলের মতো চর্বিযুক্ত মাছেও বেশ পুষ্টি রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এগুলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের দুর্দান্ত উত্স। ১২০ জন নারীর ওপর চালানো এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং সেইসঙ্গে এন্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ একটি সম্পূরক খেলে চুল পড়া কমে যায় এবং চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। খাবারে নিয়মিত চর্বিযুক্ত মাছ এবং ভিটামিন ডি-এর অন্যান্য উত্স রাখলে চুল পড়া কমতে পারে।
৩. বাদাম
চুল পড়া রোধে অন্যতম ভূমিকা পালন করে বাদাম। বাদামে চুল বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এক আউন্স (২৮ গ্রাম) বাদাম একজন মানুষের দৈনিক ভিটামিন-ই চাহিদার ৪৮ শতাংশ পূরণ করে। এছাড়াও এতে আছে ভিটামিন বি, জিঙ্ক এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো উপাদান। এই পুষ্টি উপাদানগুলোর মধ্যে যেকোনো একটির ঘাটতি চুল পড়তে সাহায্য করে। তাই বাদাম খেলে যখন এই উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায় তখন চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
৪. পালং শাক
সব শাকই শরীরের জন্য উপকারী। তবে পালং শাকে প্রচুর ফোলেট, ভিটামিন এ এবং সি থাকে। এই উপকারী উপাদানগুলো চুল পড়া রোধ করতে দারুণ কার্যকরী। তাই পুষ্টিবিদের মতে, নিয়মিত খাবারের তালিকায় পালং শাক থাকলে তা চুল পড়ার পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে দেবে।