এইচ এম আকাশঃ একের এক দুর্ঘটনায় কয়েকশ মানুষ মারা গেলেও ভবন নির্মাণে আইনের যেন তোয়াক্কাই করছেনা ভবন মালিকরা বা ডেভলপার কোম্পানিগুলো। এতে করে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে ঢাকার অনেক ভবন এবং ভবনে অবস্থারত বাসিন্দারা ।
এবার মিরপুরের বড়বাগ এলাকার (বসতি হাউজিং ৪ নম্বর গেইটের পূর্বে) ২ নম্বর রোডে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রাক্কালে ম্যানুয়াল হ্যামার দিয়ে পাইলিং করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এতে করে বিকট শব্দে আশেপাশের ভবন কেঁপে উঠছে। আশেপাশের ভবনের অবস্থানরত বাসিন্দারা এতে ভীত এবং আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হ্যামার দিয়ে ম্যানুয়ালি পাইলিং করতে গিয়ে অনেক উপর থেকে হ্যামারটি যখন নিচে ফেলছে তখন বিকট শব্দের সৃস্টি হচ্ছে। যেহেতু ঘনবসতি এলাকা সেহেতু উক্ত নির্মানিধীন জায়গার আসে পাশের ভবনের জানালার কাচ সহ পুরো বিল্ডিং কেঁপে উঠছে। বিল্ডিং এ অবস্থানরত বাসিন্দারা নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছে। এবং বেশ কিছু পাসের বাড়ির বিল্ডিংয়ে ফাটল ধরে, এছাড়া সেখানে থাকা বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিরা আরো অসুস্থ হয়ে পরছে।
স্থানীয় বেশ কিছু বাড়িওয়ালা জানান,আমরা ১৯জন মিলে রাজউকে ইতিমধ্যে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কয়েকবার স্থানীয়রা সবাই মিলে থানায় যোগাযোগ করলেও তারা কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এবিষয় কথা হয় ইঞ্জিনিয়ার আমিরুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, একটি হ্যামারের ওজন শূন্য অবস্থায় ৫ টন। যখন উপর থেকে ছাড়া হয় তখন ১০০ টনেরও বেশি শক্তি প্রয়োগ করে। এতে করে ভূমিকম্পের মত কাঁপুনির সৃষ্টি হতে পারে। রাজধানীর মধ্যে ম্যানুয়ার পদ্ধতিতে জনবসতি এলাকায় হ্যামার দিয়ে কাজ করা একদমই উচিত নয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুন্সী ছাব্বীর আহ্ম্মদ (বিপি) দৈনিক মানুষের কল্যানে প্রতিদিন কে জানান, দুপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। আপাতত কোন অসুবিধা নেই। কাজ বন্ধ রয়েছে।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে পাইলিং এর দায়িত্বে থাকা কার্নিভাল স্টেট লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর নুরুল্লা দৈনিক মানুষের কল্যানে প্রতিদিন কে টেলিফোনে জানান, আশেপাশে থেকে অভিযোগ পাওয়ায় কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। বিকল্প কোনো পদ্ধতি বের না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।
এবিষয় রাজউকের কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা অবশ্যই অনিয়ম তাই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
এবিষয়ে বিস্তারিত আসছে পরবর্তী অনুসন্ধানে