পোশাক
——–
পশুদের গায়ে পোশাক থাকে না
নিজেরাও পোশাক পরে না,
চিড়িয়াখানার পশুদের গায়ে
পোশাক চাপানো থাকে,
কেননা সেখানে মানুষের আনাগোনা
মানুষের নিয়ন্ত্রণ!
মানুষের স্পর্শ!
যেখানেই মানুষ-সেখানেই পোশাক!
পশুরা পোশাক পরলে বিভ্রান্ত হতো
একে অপরকে চিনতে পারতো না!
নিজেদের ডাক ও আওয়াজ বুঝতে পারতো না
পশুদের কণ্ঠধ্বনি পশুরা নকল করে না!
মানুষের কত রকমের পোশাক
পোশাকের কত রকমের রঙ,
মানুষকে চেনা দায়!পোশাকে কি চেনা যায়?
পশুরা পোশাক না পরলেও-উলঙ্গ মনে হয় না
মানুষ পোশাক পরলেও উলঙ্গ মনে হয়!
টিস্যু পেপার
————-
টিস্যু পেপারের মতন
ব্যবহৃত হওয়ার পর তুমিও পড়ে থাকবে
ময়লার ঝুড়িতে!
তেজপাতাও হয়ে পড়ে পরিত্যাজ্য
পায়েসের কাছ থেকে!
পরিত্রাণ ও পরিত্যাগের মধ্যে–
কতটুকু থাকে ব্যবধান!
অগ্নি ও জ্বালানির তো একই গান!
টিস্যুপেপারও ছিল তরতাজা গাছের অংশ
নিরীহ গাছের অংশ বংশচ্যূত হয়ে
খণ্ড ও বিখণ্ড হয়ে
চলে গিয়েছে লরিতে করে কারখানায়!
চেরাইকলে উঠেছে–
আজব কারখানায়-কে কখন কাকে কীযে বানায়!
হিসেবের খাতা
————-
সবকিছুর জন্য
হিসেবের খাতা খুলতে হয় না,
যোগ-বিয়োগ করতে হয় না!
হিসেবের খাতা খুললেই
স্নেহ কর্পূর হয়ে উড়ে যায়,
যোগ-বিয়োগ করলেই
ভালোবাসা বাস্প হয়ে উড়ে যায়,
গুণ-ভাগ যদি করো
আত্মীয়তা অদৃশ্য হয়ে যায়,
সুদ-আসলের হিসেব করলে