পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ (দারা) বলেছেন, অর্থনৈতিক মুক্তির প্রথম সোপান ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ‘সবুজ বিপ্লব’। এর মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের পল্লি জনপদের প্রত্যেক পরতে-পরতে নব আশার সঞ্চার করেছিলেন জাতির পিতা। তাই বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ‘সবুজ বিপ্লবের’ কোনো বিকল্প নেই। আর এর জন্য প্রান্তিক পর্যায় থেকেই সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বুধবার (২৯ মে) সকালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) সদর দপ্তরে (পল্লী ভবন) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী উপপরিচালক সম্মেলন-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশের ৬৩ জেলা থেকে আগত মোট ১১০জন উপপরিচালকের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা বিদেশে চাল রপ্তানি করি। আমাদের এখন আর খাদ্য আমদানির তেমন একটা প্রয়োজন হয় না। আমাদের এই মাটি অপার সম্ভাবনাময় মাটি, বিশ্বের অন্যতম উর্বর মাটি। এখানে সব ধরণের ফসল ফলানো অত্যন্ত সহজ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কৃষিই আমাদের মূল জীবিকা । তাই নতুন-নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষিতে আধুনিকায়ন করে দেশের আপামর মানুষের ভাগ্য বদলের দ্বারা এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময়।
প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আরও যোগ করেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ভিশনারি লিডার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোলমডেল। আমাদের নারীরাও দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে এখন অবদান রাখছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের আরও বেশি কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এ সময় উপপরিচালকবৃন্দ বিভিন্ন অর্জন, দাবি-দাওয়া ও সমস্যার কথা তুলে মন্ত্রী বরাবর তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘একটি মানুষ একটি খামার’ করতে পারলে যে কোনো পরিবারের দুঃখ ঘুচবে। পাশাপাশি অন্যদের উপকার হবে ও আয় বাড়বে। তিনি বলেন, সরকারি বেহাত হওয়া জমি বা গুদাম পুনরুদ্ধার করে ‘মার্কেট লিংকেজ’ করে গ্রামীণ পর্যায়ে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা হবে। এর জন্য যা যা দরকার তার সরকার সেগুলো করতে বদ্ধপরিকর। তবে নিজেদের চেষ্টায় এসএমই শিল্প, কারুপল্লীর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই জাগিয়ে তুলতে হবে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ওয়াদুদ বিআরডিবি প্রাঙ্গণে পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তারপর তিনি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন। পরে তিনি বিআরডিবি বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২৩ এর মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন এবং সভাপতি হিসেবে বিক্তব্য দেন বিআরডিবি মহাপরিচালক (গ্রেড-১) আঃ গাফফার খান।