পরিবেশমন্ত্রী শনিবার সাভারের ব্রাক সিডিএমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আয়োজিত ‘ক্লাইমেট ফাইন্যান্স এক্সেস এন্ড মোবিলাইজেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক তিন দিন ব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।মন্ত্রী চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন শুধুমাত্র একটি পরিবেশগত বিষয় নয়; এটি একটি অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং উন্নয়নমূলক বিষয় যা আমাদের সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে। জলবায়ু অর্থায়ন সংগ্রহ আমাদের নিম্ন-কার্বন, জলবায়ু-সহনশীল অর্থনীতিতে রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল এবং উদ্ভাবনী অর্থায়ন ব্যবস্থাকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে এবং জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার কার্যকর করার জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
সাবের চৌধুরী বলেন, উন্নত দেশগুলির নৈতিক এবং আইনগত দায়িত্ব রয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে তাদের জলবায়ু কর্মে সহায়তা করার। আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের তাদের প্রতিশ্রুতিগুলি সম্মান করতে এবং পূর্বানুমেয়, পর্যাপ্ত এবং প্রবেশযোগ্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করার আহ্বান জানাই। একই সময়ে, আমাদের সবুজ বন্ড, জলবায়ু বীমা এবং পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বের মতো উদ্ভাবনী অর্থায়নের উৎসগুলিও অন্বেষণ করতে হবে। আসুন আমরা প্রয়োজনীয় সম্পদ সংগ্রহ করতে, রূপান্তরমূলক কর্ম বাস্তবায়ন করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ভালো, নিরাপদ এবং টেকসই বিশ্ব গড়ে তুলতে একসাথে কাজ করি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, সুইডেনের দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতার উপ-প্রধান নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রোম, ব্রিটিশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার এবং উন্নয়ন পরিচালক ম্যাট ক্যানেল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি স্টেফান লিলারও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এই অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন সরকারী মমন্ত্রণালয় ও সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সিভিল সোসাইটির প্রধান অংশীদারদের একত্রিত করেছিল, যারা বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধির এবং এর কার্যকর ব্যবহারের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন।