ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ডাক সেবা নিশ্চিত করতে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। ওয়্যার হাউজ, চিলিং চেম্বার এবং যানবাহনসহ ডাকঘরের অব্যবহৃত বিশাল অবকাঠামোর সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে ডাকঘরের অব্যাহত লোকসান কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি জনগণের জন্য স্মার্ট ডাক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব। স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় ডাকঘরের বিশাল অবকাঠামো ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় ডাকভবন মিলনায়তনে ডাক অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ দেশের ডাকঘর সমূহে চিলিং চেম্বার কার্যকর ও ডাক সেবা সম্প্রসারণে বেসরকারী অংশীদারিত্ব: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা এসব কথা বলেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পের সাথে তালমিলিয়ে স্মার্ট পোস্ট অফিস গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, কেবল মেইল ডেলিভারি নয় ডাকঘরকে সার্ভিস ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের কাজ আমরা শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে এবং আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় এর দিক নির্দেশনায় ইতোমধ্যে ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরের যাত্রা আমরা গত ২০ মার্চ থেকে শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে।
জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক ডাক অধিদপ্তরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পারুল বেগম নামের একজন গ্রাহকের ভোগান্তির দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, গ্রাহকের সাথে যে কোন ধরনের প্রতারণা বরদাশত করা হবে না। তিনি সতর্ক উচ্চারণ করে বলেন, যে কোন মূল্যে ডাকঘরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী ডাকঘরের বিদ্যমান সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ডাকঘরের আয় বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শক্রমে করণীয় নির্ধারণের নির্দেশ প্রদান করেন। সে লক্ষ্যে আগামী জুলাই মাস থেকে কাজ শুরু করার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন,যুক্তরাজ্য,সৌদি আরব, থাইল্যান্ড এবং প্রতিবেশি ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডাকঘরকে সময়োপযোগী সেবা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লা্ইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মো: মহিউদ্দিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্মসচিব সাইদা আফরোজ, কুরিয়ার সার্ভিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হাফিজুর রহমান, ই-ক্যাব পরিচালক আবদুল ওয়াহেদ তমাল, বাংলাদেশ অনবোর্ড কুরিয়ার সংগঠনের সভাপতি এম আকতারুজ্জান এবং ই ক্যাব কুরিয়ার সার্ভিস, ফসল, রকমারিসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ মতবিনিময় সভায় গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন।