ঢাকা বৃহস্পতিবার ১ আগষ্ট ২০১৯: বঙ্গবন্ধু গণমাধ্যম ও বাংলাদেশ এক সূতোয় গাঁথা। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এক সময় সাংবাদিক ছিলেন। তিনি মফস্বল পর্যায় থেকেই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে মফস্বল সাংবাদিকদেরকে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করতেন। তাঁর উত্তরসূরী জননেত্রী শেখ হাসিনাও সাংবাদিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। এ সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি ২০ কোটি টাকা সাংবাদিক কল্যান তহবিলে জমা দিয়েছেন। সেই টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে যেন মফস্বল সাংবাদিকরা বাদ না পড়ে। সাংবাদিকের পকেটে না ঢুকে সাংবাদিকদের চাওয়া পাওয়া অনেক। অতীতের কোন সরকার সাংবাদিকদের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু করেনি। সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট। তিনি বৃহস্পতিবার বিএমএসএফ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এত বছরের পূরানো এই দাবি আদায় করতে হলে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
রাজধানীর কাকরাইলে এনেক্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর, কার্যকরী সভাপতি আবুল হোসেন তালুকদার, আইন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট জনাব কাওসার হোসাইন, ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ আবেদ আলী, বিএমএমএসএফ মালয়েশিয়া কমিটির সমন্বয়কারী ও এটিএন বাংলা প্রতিনিধি এস এম পারভেজ, সবুজ আন্দোলন চেয়ারম্যান বাপ্পী সরদার, এনেক্স ওয়াল্ড ওয়াইড এর পরিচালক হুমায়ুন কবির তালুকদার।
এ্যানেক্স’র সহায়তায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বিএমএসএফ’র স্থায়ী কমিটির সদস্য জসিম মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক এস এম জীবন, কেন্দ্রীয় সদস্য জাফর সেলিম, আবুল হাসনাত তুহিন, মাসুম তালুকদার, কবির নেওয়াজ রাজ, শারমিন সুলতানা মিতু, চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি কেএম রুবেল, কুড়িগ্রাম জেলা সদস্য সচিব আলমগীর কবির, মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সমন্বয়কারী বেলাল তালুকদার, সোনারগাঁও কমিটির সদস্যসচিব ফারুকুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ কমিটির সদস্যসচিব বেলায়েত হোসেন, ডেমরা প্রেসক্লাবের সভাপতি সেলিম নিজামী, ঢাকা জেলার সদস্য এসএএম সুমন ও রুমা আক্তার প্রমুখ উম্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন।
সভায় আগামি ২৪ আগষ্ট জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে টুঙ্গিপাড়ায় বিএমএসএফ’র সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠান ও ২১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ভাবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।