শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ৫৬তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামস্থ ‘বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক’ এর কেন্দ্রীয় মসজিদে ফজর নামাজের পর এ মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বাঙালি সদস্য সার্জেন্ট জহুরুল হক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ঢাকা সেনানিবাসে আটক অবস্থায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক নিহত হন। সার্জেন্ট জহুরুল হক ছিলেন একজন স্বাধীনচেতা দেশপ্রেমিক সৈনিক।
১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক আরোপিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে এয়ারফোর্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সার্জেন্ট জহুরুল হককে ঢাকা সেনানিবাসে বন্দি রাখা হয়। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের উত্তাল আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। কিন্তু এ সময়ই ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ তারিখে সার্জেন্ট জহুরুল হক ঢাকা সেনানিবাসে আটক অবস্থায় পাকিস্তানি সৈনিকের গুলিতে নৃশংসতম হত্যার শিকার হন।
দেশের মুক্তির লক্ষ্যে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্র হলের নামকরণ করা হয় ‘সার্জেন্ট জহুরুল হক হল’ এবং ১৯৮২ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটির নামকরণ করা হয় ‘বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক’।
২০১৮ সালে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের মৃত্যুদিবস উপলক্ষে ওই মিলাদ মাহফিলে এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আব্দুল্লাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিমানসেনা এবং অন্যান্য পদবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।