বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর ধারা ২৩ (১) অনুযায়ী বিশেষ ধরনের গাছ ও বন সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন বন অধিদপ্তর। এলক্ষ্যে, জাতীয় ঐতিহ্য, স্মারক বৃক্ষ, পবিত্র বৃক্ষ, প্রাচীন বৃক্ষ এবং কুঞ্জবন ঘোষণার আবেদন প্রেরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সম্ভব হলে বৃক্ষ বা কুঞ্জবনের স্পষ্ট ছবিসহ আবেদন ৩০ মার্চ, ২০২৫ এর মধ্যে cf-wildlife@bforest.gov.bd ইমেইলে পাঠানোর অনুরোধ করা হচ্ছে। ডাকযোগে আবেদন পাঠানোর ঠিকানা: প্রধান বন সংরক্ষক, বন অধিদপ্তর, বন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ ।
“স্মারক বৃক্ষ” হলো যে সকল বৃক্ষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রথাগত মূল্য রয়েছে এরূপ ঐতিহ্যবাহী বৃক্ষ বা পুরাতন বয়স্ক দেশিয় উদ্ভিদ বা শতবর্ষী বৃক্ষ। “পবিত্র বৃক্ষ” বলতে কোনো ধর্ম ও গোত্রের জনগোষ্ঠীর নিকট ধর্মীয় পবিত্র উদ্ভিদ হিসেবে স্বীকৃত কোন বৃক্ষকে বুঝায়।
“কুঞ্জবন” হলো কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরাজি ও লতাগুল্মের সমাহার, যা জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নিকট সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও প্রথাগত মূল্যবোধ রয়েছে। তাছাড়াও, সরকার সংরক্ষণের স্বার্থে ৫০ বছর বা তদূর্ধ্ব গাছের তালিকা প্রস্তুত করবে।
স্মারক বৃক্ষ, পবিত্র বৃক্ষ, প্রাচীন গাছ বা কুঞ্জবন চিহ্নিত করতে চাইলে ১. বৃক্ষের নাম/কুঞ্জবনের নাম (স্থানীয় নামসহ যদি সাধারণ নাম থাকে); ২. এলাকার নাম: গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ; ৩. কোনো হাওর-জলাভূমি, বনভূমি, পাহাড়ে অবস্থিত হলে তার নাম; ৪. ক্যাটাগরি: স্মারক বৃক্ষ/পবিত্র বৃক্ষ/প্রাচীন বা শতবর্ষী বৃক্ষ/ কুঞ্জবন; ৫. বৃক্ষ/কুঞ্জবনের আনুমানিক বয়স; ৬. যে বা যারা সংরক্ষণ করছেন তার/তাদের নাম; ৭. স্মারক বৃক্ষ/পবিত্র বৃক্ষ/প্রাচীন বা শতবর্ষী বৃক্ষ/ কুঞ্জবন হলে তার কারণ; ৮. বৃক্ষ/কুঞ্জবনের মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য;
৯. বৃক্ষটি/কুঞ্জবন সংরক্ষণ বা টিকে থাকার জন্য কোনো চ্যালেঞ্জ/সমস্যা থাকলে এবং ১০. প্রস্তাবকারীর নাম, যোগাযোগের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর ইত্যাদি তথ্যসহ আবেদন পাঠানোর জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
জাতীয় ঐতিহ্য, স্মারক বৃক্ষ, পবিত্র বৃক্ষ, প্রাচীন বৃক্ষ এবং কুঞ্জবন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষকের টেলিফোন নম্বর: ৫৫০০৭১১১ এ যোগাযোগ করা যেতে পারে।