নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় রাতের অন্ধকারে প্রায় ৬৩ বিঘা জমির ১০ হাজার আমগাছ হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা, এ ঘটনায় অর্থনৈতিক ক্ষতিসহ পরিবেশগত যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। এমতাবস্থায় দোষীদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে যৌথভাবে প্রতিবাদ সমাবেশ করেেেছ পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চ, সুবন্ধন সামাজিক কল্যান সংগঠন এবং ইনভায়রনমেন্ট ফর চিলড্রেন্স। আজ ১৫ নভেম্বর ২০১৯ সকাল ১১:০০ টায় রাজধানীর আজিমপুরের ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বক্তারা উপরোক্ত দাবি জানান।
সুবন্ধন সামাজিক কল্যান সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মাতিন, ইনভায়রনমেন্ট ফর চিলড্রেন্স এর সভাপতি খশরু আহম্মেদ, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম টুব্বুস, সুবন্ধন সংগঠনের সহ-সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন, সাধারন সম্পাদক মোঃ মকবুল হোসেন, সহ-সাধারন সম্পাদক মহসীন হোসেন, ঢাকার শেকড়ের এডমিন মোতালেব মাশরাকি, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সদস্য মোঃ নাসির হোসেন, মোঃ উজ্জল প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, প্রায়ই দেখাযায় নানা অজুহাতে শত্রæতার কারনে বৃক্ষ হত্যার মত ঘটনা ঘটছে যা খুবই দুঃখজনক। সৃষ্টির শুরু থেকেই গাছ মানুষের প্রাণ সঞ্চালনে কাজ করে যাচ্ছে। গাছ মানুষের পরম বন্ধু এই কথাটি বর্তমানে বেমানান হয়ে পড়ছে। শিল্পায়নের এই যুগে গাছ থেকে মানুষের ভালোবাসা ও যতœশীলতা কমে যাচ্ছে। ক্রমাবনতিশীল পরিবেশ ভারসাম্য, পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিহত করে পরিবেশ সুস্থ ও নির্মল রাখতে বৃক্ষের কোন বিকল্প নেই। বৈশ্বিক উষ্ণতার নেতিবাচক প্রভাবে এখন সারা পৃথিবীতে ঝড়, জলোচ্ছাস, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, মেরু অঞ্চলের হিমবাহ গলে যাওয়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে। কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাস করার লক্ষে বিশ্বব্যাপি চলছে অধিকহারে বৃক্ষরোপন ও বনায়ন কর্মসূচীর মত নানাধরনের কর্মসূচী। পরিবেশ সংরক্ষনে গাছের ভূমিকা অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও সুস্পষ্ট। বায়ু মন্ডলের কার্বন-ডাই অক্সাইড ও অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষায় যে পরিমান বৃক্ষরাজি থাকা দরকার সে পরিমান না থাকায় বায়ু মন্ডলে কার্বন-ডাই অক্সাইডের পরিমান ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। । ইন্ডিয়ান ফরেস্ট ইন্সটিটিউটের গবেষকদের মতে,একটি বৃক্ষের আর্থিক সুবিধার মোট মূল্য দাঁড়ায় ৩৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অথচ নানা অজুহাতে বৃক্ষ নিধন এবং বনাঞ্চলগুলো ধ্বংস করে পরিবেশ ভারসাম্য নষ্ট করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় ১০ হাজার আমগাছ হত্যার সাথে জড়িতদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।