মোঃ মনির হোসেন শাহীন :ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শ্যামগ্রাম-খাগাতোয়া রাস্তার পার্শ্বে সরকারি গাছ কেটে নিচ্ছে এলাকার প্রভাবশালীরা।
মঙ্গলবার(৩১/১২) ওই রাস্তায় দেদারসে গাছ কাটার মহাউৎসবের দৃশ্য দেখা যায়।কাঠুরিয়ারা জানান,বানিয়াচং গ্রামের জনৈক আব্দুল বাতেন বাক্কান মিয়ার হুকুমে রাস্তার পার্শ্বে এ গাছগুলি কাঠছেন তারা।ইতিমধ্যে কাঠুরিয়ারা প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার বড় বড় ৪টি কড়ই গাছ কেটে লাকড়ী করে ফেলেছে।ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাক্কান মিয়ার ছেলে,মো.সোহেল বলেন শ্যামগ্রাম ইউপি, চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাবুলের নির্দেশে আমার বাবা গাছ কাটতে কাঠুরিয়াদের পাঠিয়েছেন।
সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে প্রশাসন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কেটে ফেলা গাছগুলি জব্দ করেছে।
এ ব্যপারে শ্যামগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাবুল গাছ কাটার নির্দেশ অস্বীকার করে বলেন,আমি কি গাছ কাটার অর্ডার দিতে পারি? রাস্তার পার্শ্বে এই গাছগুলি উনার(বাক্কান মিয়ার)লাগানো বলে দাবী করছেন।
অভিযুক্ত আব্দুল বাতেন বাক্কান মিয়া মুঠোফোনে বলেন,ঐ গাছে ডাল গুলি আমার জমির উপর এসে পরেছিল তাই গ্রাছের ডালগুলি কেটে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা কমল দেব বলেন,আমি ইউএনও ও এসিল্যন্ড স্যাারের নির্দেশে কেটেফেলা গ্রাছগুলি জব্দ করেছি,পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা বণ কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস বলেন, এখানে যে গাছ আছে সেটি আমি জানি না,আমি এখন বাঞ্ছারামপুর আছি,পরে এসে আপনার(প্রতিবেদকের)সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বলেন,নিয়মবহির্ভূতভাবে কেউ গাছ কাটতে পারেন না কোন রাস্তার পার্শ্বে গাছ কাটার নির্দেশ কেউ দিতে পারে না।আমি সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে,ইতিমধ্যে ওই কাটা গ্রাছগুলি জব্দ করা হয়েছে।