লিয়াকত হোসেন, রাজশাহীঃ গতকাল চরখিদিরপুর থেকে বৌভাত শেষে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে বর-কনে যাত্রীসহ নৌকা ডুবির ঘটনায় এক মধ্যবয়সী নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর এলাকার পদ্মা নদী থেকে মাঝ বয়সী এ নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে বিজিবি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পদ্মার মাঝ নদীতে নৌকাডুবি হওয়ার পর রাত আটটার দিকে দুই শিশুসহ ১২ জন উদ্ধার হয়। তবে এরমধ্যে এক শিশু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এরপর থেকে রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রেস্কিউ টিম ঢাকার ডুবুরি দল পদ্মা নদীতে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। এ ছাড়া আর কারও লাশ উদ্ধার বাসন পাওয়া যায়নি।
পদ্মার মাঝ নদীতে নৌকাডুবি হওয়ার পর অন্য নৌকায় বাড়িতে ফেরা এক মাস বয়সী নারী ও যুবক জানান, তারা যে নৌকায় ছিল সে নৌকাটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সেটি দিয়ে পানি উঠতে শুরু করে। এরপর পানি ঢুকতে শুরু করে নৌকাটিতে। আর আরেকটি নৌকা কিভাবে ডুবেছে তা তিনি জানাতে পারেননি। কতজন যাত্রী ছিল এ বিষয়ে তারা জানায় দুই নৌকা মিলে মোট জন যাত্রী ছিল আনুমানিক ৩২জন। এরমধ্যে ১৩ জন উদ্ধার হয়েছে।
বরের নাম রুমন আলী (২৬)। তার বাড়ি পদ্মার ওপারে পবা উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামে। বাবার নাম ইনসার আলী। আর কনের নাম সুইটি খাতুন (২০)। তার বাড়ি রাজশাহী শহর সংলগ্ন পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামে। বাবার নাম শাহীন আলী।
বৃহস্পতিবার রুমন-সুইটির বিয়ে হয়। শুক্রবার দুপুরের দিকে সুইটির আত্মীয়-স্বজনরা বর-কনেকে আনতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে মাঝ পদ্মায় নৌকা ডুবে যায়। ঘটনার পর বর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন। এছাড়া দুই পরিবারের পাঁচজনসহ আরও ছয়জন উদ্ধার হয়েছেন। তারা হলেন খাদিমুল ইসলাম (২৩), রতন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন (২২), সুমন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী নাসরিন বেগম (২২) এবং মেয়ে সুমনা আক্তার (৬)।
এদিকে দুর্ঘটনার ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ায় নিখোঁজদের বেঁচে ফেরার আশা ছেড়ে দিয়েছেন স্বজনরা।