অনলাইন ডেস্কঃ
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যে উদ্যোগের অংশ হিসেবে জেলা পুলিশের সদস্যরা নিজস্ব প্রযুক্তিতে ৩০ হাজার পিচ হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরীর পর বিনামূল্যে তা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। জেলা পুলিশের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাদের দাবী সমাজের বিত্তবানরা করোনা ভাইরাস রোধেও এমন ভূমিকা রাখবেন।
করোনা ভাইরাসের আতংকে নৌযান ও যানবাহন চলাচল সিমিত এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। একই সাথে জেলার সকল হাট-বাজারের ওষুধের ফার্মেসী ও কাচাঁ মালের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমনি এক পরিবেশে নিত্য ব্যবহার্য হেক্সিসল পাচ্ছেন না মানুষ। আর সে কারণেই রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার স্ব-উদ্যোগে নিজস্ব প্রযুক্তিতে ৩০ হাজার পিচ হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরী করেছেন।
আজ দুপুরে রাজবাড়ীর পুলিশলাইনের ড্রিল সেটে গিয়ে দেখাযায়, পুলিশ সদস্যদের কর্মযজ্ঞ। সেখানে পুরোদমে তদারকি করছেন, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোঃ ফজলুল করিমসহ জেলা পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকতারাও লাগিয়েছেন হাত। মানবিক এই কাজে পুলিশ সদস্যদের উৎসহের দেখাযায়নি কোন কমতি।
শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এসএম নওয়াব আলী, কলেজ শিক্ষক শায়লা তাবাসসুম নেওয়াজ ও স্মৃতি ইসলাম বলেন, পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অথচ মানুষের এই ক্রান্তিলগ্নে পুলিশ সুপার যে মহতী উদ্যোগ নিয়েছেন তা সত্যিই ব্যতিক্রমী। তারা সমাজের বৃত্তবানদেরও এমন মহতি কাজ করার আহবান জানান।
রাজবাড়া সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আব্দুর রশিদ মন্ডল বলেন, পুলিশ সুপারের এই মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে কারিগরি সহায়তা তারা প্রদান করেছেন। হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরীতে তারা রেক্টিফাইড স্পিড, গ্লিসারিন, পানি ও ফ্লেবারের জন্য লেবুর রস, হেক্সিসলের রং উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা জরূরী। আর মানুষকে নিরাপদে রাখতে হলে প্রয়োজন হেক্সিসলের। যা বর্তমানে কোন দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে না। এমনি একটা গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্যের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেই তিনি হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরীর উদ্যোগ নেন। খুব বেশি ব্যয় হচ্ছেনা তার। শুধু মানষিক ভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা চিন্তা করলেই এটা তৈরী করা সম্ভব। তারা প্রাথমিক ভাবে ৩০ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরী করছেন। যা তৈরীর পর পরই বিতরণ করা হচ্ছে।