চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সংবাদকর্মী, ব্যাংকারসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত ভাড়াটিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হলে পুলিশে ফোন করার অনুরোধ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার তিনি গণমাধ্যমের কাছে এ কথা বলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধ করতে যারা সমাজে যুদ্ধ করছেন, তাদের রাত যাপনের বিষয়টি সুরক্ষার সঙ্গে চিন্তা করতে হবে। তারা তাদের ডিউটি পালন করতে যথাযথ সুরক্ষা নিয়েই কর্মস্থলে যাচ্ছেন। এরপরও কতিপয় বাড়ির মালিক কাউকে কাউকে বাসা ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এমন হুমকি কেউ পেলে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ অথবা ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।’
সেই সঙ্গে বাড়ির মালিকদের বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করতে বলেছেন। এই মূহুর্তে তারা যদি তাদের বাসস্থানের সুরক্ষা না পান-তাহলে করোনা প্রতিরোধে তাদের ভূমিকা ব্যাহত হবে।
এরকম বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার হুমকির মুখে পড়েছেন নগরবাসী অনেকেই। বিশেষত যারা পেশাগত কাজে বাইরে যান সেই চিকিৎসক, সাংবাদিক, নার্স, ব্যাংকার, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অনেকে।
সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইরে কেউ গেলে বাসার সদস্যরা আতঙ্কিত হবেন স্বাভাবিক। কিন্তু এই স্বাভাবিক আতঙ্ক থেকে এমন কোনও আচরণ করা যাবে না, যা কোনও ব্যক্তির জন্য কষ্টের ও অমানবিক হয়ে যায়।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, বাইরে থেকে এলে হাত ধুয়ে ভেতরে প্রবেশসহ সুরক্ষার বিষয়ে নিয়ম চালু করতে পারে। কিন্তু বাইরে যায় বলে বাসা ছেড়ে দিতে হবে, এমন ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয়নি। তাদের বাসা থেকে চলে যাওয়ার যে চাপ দেওয়া হচ্ছে, সেটা ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইনে উপদেষ্টা কমিটিকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তারা চাইলেই বাসাবাড়িতে যেসব হয়রানি হচ্ছে, সেসব বন্ধে একটি নির্দেশনা জারি করতে পারেন। তারা নির্দেশনা জারির পরেও যদি বাড়ি মালিকরা মানতে না চান, তখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও বিধান আইনে রয়েছে।
সূত্রঃ ডিএমপি ও ইত্তেফাক