শেখেরকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ডালিম জানান,ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ফোনে তাকে তাকে করোনা পজিটিভ বলে জানানোর পর তার স্ত্রী অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। সেই পরিস্থিতিতে তিনি বাধ্য হয়েই রাতেই পালিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসেন।
কামরুল হাসান ডালিম জানান,আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি ওই ব্যক্তির স্ত্রী পেশায় নার্স এবং বগুড়ার সরকারি একটি হাসপাতালে কর্মরত। তিনি বলেন, একজন নার্স হয়েও কেন তিনি দায়িত্বশীল আচরণ না করে উল্টো স্বামীর সাথে এমন করলেন সেটা একটা বড় প্রশ্ন হয়ে থাকবে।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান,ঢাকার একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে ওই ব্যক্তি চাকরি করেন। গত ১০ এপ্রিল তিনি বগুড়া শহরের ফুলতলা এলাকার ভাড়া করা বাসায় আসেন।জ্বর ও কাশি থাকায় পরিবারের সদস্যদের চাপে গত ২৬ এপ্রিল তিনি নমুনা দেন। এরপর ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঘোষিত ফলাফলে তিনি পজিটিভ বলে চিহ্নিত হন। বিষয়টি তাকে মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেয়া হয়। এরপরই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন তার ভাড়া বাড়ি লকডাউন করতে যান। রিপোর্টে শুধু ফুলতলা এলাকা লেখা থাকার কারণে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন তাকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়িয়েছে। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার অবস্থান জানা যায়নি।
বগুড়া পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খোরশেদ আলম জানান,অনেক চেষ্টার পর বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তার সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে ওই ব্যক্তিকে না পাওয়া গেলেও তার স্ত্রী ও ১২ বছরের এক ছেলেকে পাওয়া যায়। এরপর ওই বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করা হয়। পরে স্ত্রীর দেয়া তথ্য মতে ওই ব্যক্তি গ্রামের বাড়ি বগুড়া সদরের শেখেরকোলা গ্রামে রাত সাড়ে আটটায় তার সন্ধান পায় পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম বদিউজ্জামান জানান,তার সন্ধান পাবার পর ওই বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।