নিউজ ডেস্কঃ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হন এবং তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করে ১১টি খাসি জবাই করে বিলিয়ে দিয়েছেন কুড়িগ্রামের এক যুবক।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সোনাইর খামার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল হকের ছেলে খাইরুল ইসলাম নিজের অর্থায়নে ১১টি খাসি জবাই করে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে মাংস বিলিয়ে দেন।জানতে চাইলে খাইরুল ইসলাম বলেন, আমার বাবার কোনো সম্পত্তি ছিল না। অন্যের দেয়া জমিতেই আমরা থাকতাম। অভাব-অনটনের জন্য ২০০৬ সালে এক প্রতিবেশীর সহযোগিতায় ৯ বছর বয়সে আমি সেনাবাহিনীর ব্যক্তিগত গৃহপরিচারক হিসেবে কাজ শুরু করি। সেনাবাহিনীর সঙ্গে পোস্তগোলা ক্যান্টনমেন্টের ৫ আরই ব্যাটালিয়নের ইঞ্জিনিয়ার কোরসহ যমুনা, কাপ্তাই এবং নাটোরের ব্যাটালিয়নে কাজ করেছি দীর্ঘদিন। সেনাবাহিনীর মানবিকতায় আজ আমার অভাব নেই। পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ সুখেই আছি আমরা।
তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সোমবার নিজ উদ্যোগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেনাবাহিনীরউচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তার নামে আল্লাহর দরবারে ১১টি খাসি কোরবানি দিলাম। একই সঙ্গে তারা যেন দীর্ঘায়ু লাভ করেন এবং করোনাভাইরাস তাদের যেন আক্রান্ত না করে সেজন্যই মূলত এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।খাইরুল ইসলাম আরও বলেন, গৃহপরিচারকের কাজ করতে গিয়ে কয়েকজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তার ভালোবাসা ও স্নেহে জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেই সঙ্গে উদার মানসিকতা তৈরি হয়েছে আমার।
ওই গ্রামের বাসিন্দা শাহীন কবির মন্ডল, শাহানুর রহমান, রেজাউল কবীরসহ বেশ কয়েকজন জানান, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে খাইরুল যে কাজটি করেছেন সেটি নিঃসন্দেহে ভালো। স্থানীয়দের সহযোগিতায় জনসমাগম রক্ষা করে এসব খাসির মাংস বিতরণ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য মাংস বিলির আগে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর আহম্মেদ মাছুম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে খাসি জবাই দেয়ার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। এমন ব্যতিক্রমী কাজ প্রশংসনীয়। দেশের এই ক্রান্তিকালে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসারও অনুরোধ জানাই।সূত্র:জাগো নিউজ