সিভিল সার্জন জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে তাকে জানানো হয়েছে, নমুনা পরীক্ষায় সাতক্ষীরায় ২৪ জনের রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২৩ জন দেবহাটা উপজেলার এবং একজন আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা।
দেবহাটার ২৩ জন ঢাকা থেকে আসলে তাদেরকে সরকারি খান বাহাদুর আহছানউল্লা কলেজে প্রাতিষ্ঠানিক করেন্টাইনে রাখা হয়। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনায় পাঠানোর পর করেন্টাইনের মেয়াদ ১৪ দিন শেষ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আজ রিপোর্ট পাওয়া গেছে সকলেই পজেটিভ। তারা পরিবারের কতজনকে সংক্রমিত করেছে তা নিয়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
এখন তাদের খুঁজে প্রাতিষ্ঠানিক আইসুলেসনে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তরা হলেন, বসন্তপুর গ্রামের মোহাম্মাদ গাজীর ছেলে নুর ইসলাম গাজী (৭০), একই গ্রামের হাকিম গাজীর ছেলে হাসান গাজী (৫০), সুশীলগাতী গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে শেখ আবুল কালাম (৪০), কোড়া গ্রামের ছাত্তার গাজীর ছেলে আবু সাঈদ (১৮), প্রথম করোনা আক্রান্ত দেবহাটার মান্দার গাজীর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৪৫), সখিপুরের রবিউল গাজীর ছেলে জয়নাল আবেদিন (৫০), দেবহাটার মোকছেদ আলী গাজীর ছেলে মুসা গাজী (৩২), একই গ্রামের জামাত আলী গাজীর তিন ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩২), আকবর আলী গাজী (৪০), হাফিজুল ইসলাম গাজী (৩৮), বসন্তপুরের আকবর আলী গাজীর স্ত্রী বানুরা (৩০), দেবহাটার মুসা গাজীর স্ত্রী হালিমা বেগম (২৩), সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর গ্রামের সাইফুল্লাহর স্ত্রী হালিমা খাতুন (২৫), বসন্তপুরের হাসান আলী গাজীর স্ত্রী জবেদা খাতুন (৪৮), সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর গ্রামের নজরুল গাজীর ছেলে সাইফুল্লাহ (২৮), সখিপুরের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩০), দেবহাটার বসন্তপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম গাজীর শিশুপুত্র মামুন (১৪), দেবহাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশ মৃত হাসান গাজীর ছেলে আব্দুর রহমান (৬০), দেবহাটার আকবর আলী গাজীর শিশুকন্যা খাদিজা খাতুন (৬), দেবহাটা সদরের মুসা গাজীর শিশুপুত্র মুজাহিদ (৪), বসন্তপুরের হাসান আলী গাজীর দুই ছেলে আল আমিন (১৯), আব্দুল মান্নান (১৮), সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর গ্রারে সাইফুল্লাহর শিশুকন্যা সাদিয়া সুলতানা (৭) ও দুই বছর বয়সী শিশুপুত্র হাসিব বাবু।