লিয়াকত হোসেন রাজশাহী :রাজশাহীর তানোর মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে উঠা চলমান অনিয়ম দুর্নীতির সরেজমিনে প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের কাছে তদন্ত দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসী। জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ বরাদ্দ গরীব অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে সঠিক ভাবে বন্টন না করে মেয়র গোলাম রাব্বানী তার অনুসারী সাইদুর কে দিয়ে ইচ্ছে মত মেয়রের আত্নীয় সজন ও বিত্তবানদের নামে তালিকা তৈরি করে পৌরসভার বরাদ্দ নয়ছয় করে বন্টন করা হয়েছে বলে পৌরসভার বঞ্চিত অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে অভিযোগ উঠেছে । যার ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে পৌরসভার প্রকৃত অসহায় অতিদরিদ্র পরিবার গুলো। এছাড়াও পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গোলাম রাব্বানী পৌরসভার উন্নয়ন তো দুরের কথা পৌরসভার বাউন্ডারি প্রাচীর নির্মাণে তিনবার টেন্ডার হলেও এখন পর্যন্ত প্রাচীর নির্মাণ করতে পারেনি পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী। এমনকি পৌরসভার ফান্ডে আসা জলবায়ু প্রকল্প এডিপি ও মুন্ডুমালা গরুর হাট টেন্ডারের কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন পুকুরের প্রটেকশন ওয়াল রাস্তা সংস্কার সড়ক বাতিসহ গরুর হাট সংস্কারের নামে একাধিক টেন্ডার দেখিয়ে পৌরসভার ফান্ডের টাকা নয়ছয় করে আত্মসাৎ করেছেন এই মেয়র গোলাম রাব্বানী।
যা সরেজমিন তদন্ত করলেই সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলেও পৌরবাসী দাবি করেছেন। মুন্ডুমালা পৌরসভার কাউন্সিলর আমিন ও মুন্টু বলেন, আমরা শুধু নামে কাউন্সিলর হয়েছি। তা না হলে দেশের এমন মহামারি করোনা ভাইরাস দুর্দিনে কাউন্সিলরদের দিয়ে নিজ নিজ ওয়ার্ডের অসহায় দরিদ্র মানুষের তালিকা তৈরি করে তাদের মাঝে সরকারের দেয়া বরাদ্দ বিতরণ না করে মেয়র তার ইচ্ছে মত অনুসারীদের দিয়ে মেয়রের আত্নীয় সজনদের তালিকা তৈরি করে সরকারের দেয়া মানবিক সহায়তা নয়ছয় করে বিতরণের নামে মেয়র সবত্রাণ সামগ্রী আত্মসাৎ করেছে বলেও কাউন্সিলররা জানান।
মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দল ক্ষমতায় থাকলে এরকম একাক টুক হতেই পারে এটা কোন ব্যাপার না সব ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।