জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিক নেতা ও সংগঠন অনেকগুলোর নাম শুনি। কিন্তু মফস্বলের কর্মরত সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীদের জন্য এই পর্যন্ত বিএমএসএফ ব্যতিত কাউকে কথা বলতে শুনিনা।
কেউ যদি প্রশ্ন করেন,অন্যরা কিছু করতে পারেনি তবে বিএমএসএফ কি করেছে? সেখানে সহজাত জবাব দেশের যেখানেই কোন সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন তাদের জন্য সব জেলায় রাস্তায় দাড়িয়ে তীব্র প্রতিবাদ করা সংগঠন আমার দেখামতে বিএমএসএফ।
এই সংগঠনের আদর্শ উদেশ্য আমি জানিনা,জানারমত সুযোগ আমার হয়নি।
আজ থেকে ৪বছর আগে যখন আমার সাপ্তাহিকটি প্রকাশনায় যায়, আমাকে এই সংগঠনের ফেনী জেলা কমিটিতে আমন্ত্রন জানায় তৎকালীন সাধারন সম্পাদক সিদ্দিক আল মামুন ভাই।
কিন্তু এ জগতে নতুন মানুষ তাই যাওয়া হয়ে ওঠেনি।
পরে দৈনিক টি প্রকাশনায় গেলে জেলা সভাপতি জসিম মাহমুদ Jashim Mahmud ভাইয়ের আন্তরিকতায় এই সংগঠনের সম্মেলনে অংশ গ্রহন করি এবং সদস্য ফরম কিনে সদস্য হই।
তবে জসিম মাহমুদ ভাই একটি প্রভাবশালী পদে দায়ীত্ব পালনের অনুরোধ করলেও উপজেলা পরিষদের কারনে তা বিনয়ের সহিত অপারগতা জানাই। তবে শেষ পর্যন্ত সদস্য করা হয়েছিল কিনা জানিনা, কারন এরপর আর কোন মিটিংয়ে দাওয়াত পাইনি।মাসিক কোন চাঁদাও নেননি।
এভাবে সংগঠনটির দুর্বলতা তৈরী হয়।দেখলাম জাফর সেলিম সেলিম ভাই সহ অনেকগুলো প্রিয়মুখ এখানে।
ফেনী জেলা শাখা,কেন্দ্রীয় কমিটির মতই সবসময় যে কোন রক্তচক্ষুকে থুথু দিয়ে সংবাদকর্মীদের জন্য পাশে থাকা একটি জাতিয় সংগঠন এই বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম।
করোনার এই মহামারীতেও একমাত্র এই সংগঠনটি কেন্দ্রীয় ভাবে সাংবাদিকদের একটি সেবাসেন্টার চালু করেছে।যা অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার দাবী রাখে।
আমি প্রথমেই বলেছি বর্তমানে সাংবাদিকদের বিভক্তিতে সব জায়গায় এর কোন না কোন প্রভাব পডেছে একমাত্র বিএমএসএফ ব্যতিক্রম।
সংগঠনটিতে মত পথের ভিন্নতা থাকলেও দাবী আদায় এবং প্রতিবাদ করার বিষয়ে কখনও আমি ভিন্নতার চাপ পাইনি।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সম্ভবত শহীদুল ইসলাম পাইলট সাহেব,কেন্দ্রীয় মহাসচিব বা সাধারন সম্পাদক জনাব আহমেদ আবু জাফর সাহেব তাও জসিম মাহমুদ ভাইর কাছে যতটা জেনেছি,এর মাঝে আবার আমার কোন ভুল না হলে।
সকল ক্ষেত্রে ভেদাভেদ থাকলেও সাংবাদিকদের মাঝে মতপথ যাই হোক, ঐক্যবদ্ধতা দেশ ও জাতির স্বার্থে অতীব জরুরী হেতু আমি মনে করি সেই জায়গাটির এক সময় নেতৃত্ব দিবে এই বিএমএসএফ।
সকল সাংবাদিকদের প্রতি আমার নিবেদন সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে আসুন,সবাইকে এক ছাতায় আনুন।তবেই এই পেশাতে ভবিষ্যতে মেধাবীরা আসতে সাহস পাবে।নচেৎ এই পেশাটি তার স্বক্রিয়তা হারাতে পারে।
কথায় কথায় সাংবাদিকদের হামলা,মামলা, চাকুরিচ্যুত করা হতে রক্ষা করতে একতাবদ্ধতার বিকল্প নেই।
আমি নিজেকে সংবাদকর্মী বা এ জগতের একজন শ্রমিক মনে করে এমনটি অর্থ্যাৎ একতাবদ্ধ হওয়ার আবেদনটি জানালাম।
পরিশেষে সাংবাদিকদের সকল সংগঠন গুলোর সফলতা কামনা করি।
সফলতা কামনা করি বিএমএসএফ এর এবং করোনার প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে স্বাস্থ্য সেবার পরামর্শ কেন্দ্র চালু করায় এর নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক মোবারকবাদ।