মনির হোসেন শাহীন :ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর প্রেসক্লাবের সদস্য পদ থেকে কালের কন্ঠের নবীনগর প্রতিনিধি সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপুকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।শনিবার (৩০/০৫) সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নবীনগর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী বৈঠকে প্রেসক্লাব ও ক্লাবের সাংবাদিকদের নিয়ে বিভিন্ন সময় মানহানীকর লেখা লিখে গঠনতন্ত্র লযঘন করায় তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নবীনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কল্লোল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গঠনতন্ত্রের আলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।
সুত্র জানায়, সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ এর বিরুদ্ধে যেসব গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজের অভিযোগে আনা হয়েছে, সেগুলো হলো, সাংবাদিক অপু ক্লাবের সদস্য থাকাকালীন অবস্থায় নুতন আরেকটি সাংবাদিক সংগঠন করার ঘোষনা দেয়া, মিথ্যাচার করে সাংবাদিক সহযোদ্ধাদের ভন্ড ও চাটুকার হিসাবে আখ্যায়িত করা, প্রবীর সিকদার নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত বর্তমান ক্লাবের সভাপতিকে ‘বিতর্কিত সভাপতি’ ও ‘সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা’ বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া এবং তিন দশকের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটির জনস্বার্থে কি কার্যক্রম এ নিয়ে প্রশ্ন তোলাসহ ক্লাবের অনেক সদস্যদের কার্যক্রম নিয়ে কটাক্ষ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় সাংবাদিক অপু।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু বলেন, আমি ক্লাবের বিরুদ্ধে কিংবা সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে কোন লেখালেখি করিনি। যারা অপসাংবাদিকতা করে এবং সাংবাদিকতার নামে ধান্দাবাজি, চাঁদাবাজির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমি লিখেছি। যা এখনও আছে এবং আজীবন অব্যাহত থাকবে।
গৌরাঙ্গ দেব নাথ অপু বলেন আমি এমনিতেই প্রেসক্লাবে যেতামনা কারন যেই প্রেসক্লাবের নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ব্যঙ্গ করে বলে বিয়েযার যার বৌ সবার। যেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
শুধুইতাই নয় স্হানীয় সাংসদের সাথে খথা নাবলেই উনার নামে কাল্পনিক বক্তব্য প্রকাশকরে তাদের সাথে আমার থাকাটা খুবই লজ্জার।
তিনি আরো বলেন, অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে আমি আজীবনই লিখে যাবো। এতে আমায় কে বহিস্কার করলো, সেসব দেখার সময় আমার নেই।”
তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউকে বহিষ্কার করতে হলে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নোটিশ পাঠাতে হয়। কিন্তু এ বিষয়ে আমি কোন চিঠিও পাইনি।”
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সুশীল সমাজের নেতা বলেন, সাংবাদিকদের বলা হয় সমাজের দর্পন। আর নবীনগরে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে বলিষ্ঠ কলমযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত সাংবাদিকতা গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু হলেন নবীনগরের সেই দর্পন। তিনি সব মহলে সুপরিচিত একজন মেধাবী সাংবাদিক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।
তার প্রতিটি লেখায় তথ্যবহুল ও সঠিক সংবাদটি আমরা খুঁজে পাই। সুতরাং তাঁর মতো সৎ, মেধাবী ও দক্ষ সাংবাদিক প্রেসক্লাবে না থাকলে, অপুর কোন ক্ষতি না হলেও, প্রেসক্লাবটির কিন্তু বেশ ক্ষতি হয়ে যাবে। এটি এখানকার সিনিয়র সাংবাদিকদের বুঝা উচিৎ।
নবীনগরের একটি প্রতিষ্ঠিত দৈনিকএর উপজেলা প্রতিনিধি বলেন প্রেসক্লাবের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যাবসায়িকে হয়রানি নানান অভিযোগ রয়েছে তাই এখানে গৌরাঙ্গ দেব নাথ অপুর মতো একজন সৎ সাহসী সাংবাদিককে মানায়না।
নবীনগর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু কামাল খন্দকার জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।